ভারতে জৈব কৃষি শংসাপত্র বা সার্টিফিকেশন পদ্ধতি

Didibhai Agrofarm
0


জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন পণ্যের গুণমান ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতে উৎপাদকরা বিভিন্ন পদ্ধতির প্রয়োগ ও রূপায়ণ করে চলেছেন। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। উৎপাদকরা জৈব ফসলের শংসাপত্র পাওয়ার জন্য সার্টিফিকেশন এজেন্সির কাছে আবেদন করেন। ওই এজেন্সি আবেদনকারির জৈব ফসল ক্ষেতের ব্যবহৃত বীজ, জল, মাটি, জৈব পদার্থ প্রভৃতি উপকরণ পরীক্ষা করে দেখেন। পরীক্ষা করার পর কৃষককে কি কি করতে হবে, তার পরামর্শ দেন। এইভাবে ধারাবাহিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তৃতীয় বছরে বা তারও পরে কৃষকের উৎপন্ন ফসলকে জৈব ফসল হিসাবে শংসাপত্র প্রদান করেন। জৈব ফসলের শংসিতকরণের অন্যতম পদ্ধতি হল থার্ড পার্টি (Third Party) সার্টিফিকেশন সিস্টেম। মূলত এই পদ্ধতির উপর নির্ভর করে জৈব ফসলের ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে। ভারতে ২৪টি সংস্থা Third Party হিসাবে জৈব পণ্যের সার্টিফিকেশন প্রদান করে থাকে। কিন্তু থার্ড পার্টি সার্টিফিকেশন সিস্টেম সময়সাপেক্ষ, ব্যয় বহুল ও প্রচুর নথিপত্র সম্বলিত হওয়ায় আমাদের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের জৈব চাষে আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না। সেজন্য এই পদ্ধতির বিকল্প হিসাবে পি জি এস (PGS - Participatory Guarantee System) সার্টিফিকেশন পদ্ধতিতে জৈব চাষে উৎপন্ন পণ্য গ্রুপ বা ক্লাস্টারে (Group/Cluster) শংসিতকরণ করে বাজারজাত করণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন এই ব্যবস্থা ‘পিকেভিওয়াই’ প্রকল্পে নেওয়া হয়েছে।

ক) পি.কে.ভি.ওয়াই কি : -

পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা সংক্ষেপে হল পিকেভিওয়াই (PKVY)। জাতীয় সুস্থায়ী কৃষি মিশন (NMSA - National Mission on Sustainable Agriculture) এর অধীনে ২০১৫-১৬ সালে নতুন একটি প্রকল্প চালু হয়েছে। জৈব চাষের সহায়তা প্রদান করার উদ্যোগ এই প্রকল্পে গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো স্থানের কৃষকদের জোড়বদ্ধ করে ৫০ একরের এক একটি কৃষক গোষ্ঠী বা গুচ্ছ (Cluster) গঠন করে জৈব চাষে উৎসাহ প্রদান করা হবে। বিভিন্ন কৃষক গোষ্ঠী পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে জৈব ফসল ক্ষেত পরিদর্শন ও মূল্যায়ন করে উৎপন্ন পণ্য শংসিতকরণ করবেন। শংসিত জৈব পণ্য বাজারজাত করণের ব্যবস্থা থাকবে। পিকেভিওয়াই প্রকল্পে কৃষকগোষ্ঠীকে একর প্রতি ২০,০০০ টাকা আর্থিক অনুদান প্রথম তিন বছরে দেওয়া হবে।

পশ্চিমবঙ্গে ২০১৬-১৭ সালে ১২০টি কৃষক গোষ্ঠীর মাধ্যমে প্রায় ৬০০০ একর জমিতে পিকেভিওয়াই প্রকল্পে জৈব চাষে উৎসাহ প্রদানের কাজ চলছে। ভারতে আগামী ৩ বছরে ১০,০০০ কৃষক গোষ্ঠী গঠনের মাধ্যমে ৫০,০০০ জমিতে জৈব চাষ চালু করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

খ) পি কে ভি ওয়াই প্রকল্পের উদ্দেশ্য :-

১) ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জৈব চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি ও জৈব ফসল চাষ এলাকা বৃদ্ধি।

২) ব্যয় বহুল থার্ড পার্টি সার্টিফিকেশনের বিকল্প হিসাবে পিজিএস সার্টিফিকেশন পদ্ধতিতে জৈব ফসলের ক্লাস্টার বা গ্রুপ ভিত্তিতে শংসিতকরণ এবং দেশীয় বাজারে জৈব পণ্যের নিয়মিত সরবরাহকরণ।

৩) কৃষিতে অজৈব উপকরণ যেমন রাসায়নিক সার ও পেস্টিসাইডের ব্যবহার হ্রাস তথা বন্ধ করা এবং স্থানীয় কৃষি সম্পদকে কাজে লাগিয়ে চাষবাসে জৈব পদার্থ তথা জৈব উপকরণ (জীবাণুসার, জৈব কীটনাশক) প্রয়োগ বৃদ্ধি অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব কৃষিতে উৎসাহিত

করা।

৪) জৈব পণ্যের স্থানীয় বাজার তৈরি এবং সেই বাজারে নিয়মিত জৈব পণ্য সরবরাহ করা। পি কে ভি ওয়াই প্রকল্প রূপায়ণের প্রধান চারটি ধাপ

১) জৈব কৃষক গোষ্ঠী গঠন।

২) জৈব গ্রাম তৈরি।

৩) অনলাইনে পিজিএস সংশিতকরণ।

৪) জৈব চাষ জাত ফসলের স্থানীয় বাজার তৈরি।

গ) পি. জি .এস .সার্টিফিকেশন কি?

ভারতে জৈব চাষ এলাকা বৃদ্ধি এবং জৈব পণ্য শংসিতকরণ পদ্ধতি সরলীকরণের উদ্দেশ্যে পি জি এস সার্টিফিকেশন শুরু হয়েছে। ২০০০ সালে চালু হওয়া ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর অরগানিক প্রোডাকশন (NPOP) প্রকল্পের মুখ্য পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান । এখানে জৈব ফসল উৎপাদন ও জৈব পণ্য শংসিতকরণের ব্যবস্থা চালু আছে। ২০১৫-১৬ ভারত সরকার পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনাতে জৈব চাষে উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি পিজিএস সার্টিফিকেশন পদ্ধতিতে জৈব পণ্যের গ্রুপ শংসিতকরণের ব্যবস্থা করেছে।

পি জি এস অর্থাৎ পার্টিসিপেটরি গ্যারান্টি সিস্টেম জৈব চাষের জন্য গঠিত কৃষক গোষ্ঠীর উৎপাদিত কৃষি পণ্য শংসিতকরণ হবে। এ ব্যাপারে রিজিওন্যাল কাউন্সিল সহায়তা করবে। একই গোষ্ঠীর এবং পাশাপাশি গোষ্ঠীর কৃষকেরা পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে (Peer apprisal) জৈব ফসল ক্ষেত পরিদর্শন ও মূল্যায়ন করবে।

উৎপন্ন জৈব পণ্য NABL (National Accrediation Board for Testing & Calibration Laboratories) স্বীকৃত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। সবশেষে পিজিএস সার্টিফিকেশন পাওয়া যাবে। জৈব কৃষির পদ্ধতি রূপান্তরিত পদ্ধতির মধ্যে থাকলে (দ্বিতীয় বর্ষে) পিজিএস গ্রীণ লোগো এবং সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতির চাষ হলে (তৃতীয় বর্ষ থেকে পরবর্তী বর্ষে) পিজিএস-অর্গানিক লোগো পাওয়া যাবে। কোনোভাবে পিজিএস গ্রীণ লোগো থেকে পিজিএস অর্গানিক লোগোতে রূপান্তর কার্য একবার অকৃতকার্য হলে, সেটি আর পবরর্তী বছরগুলিতে পিজিএস অর্গানিক লোগো পাবে না। এই সার্টিফিকেট ও লোগো শুধুমাত্র ভারতের আভ্যন্তরীন বাজারের জন্য প্রযোজ্য হবে।

ঘ) পি জি এস শংসিতকরণ পদ্ধতির সুবিধা :-

১) সহজ সরল পদ্ধতি।

২) পারস্পরিক মত বিনিময়ের সুযোগ।

৩) সঠিক গুণমান বজায় ৷        

8) স্বচ্ছতা।

৫) উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও উপভোক্তার মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসযোগ্যতা ।

৬) কম খরচ।

ঙ) পি কে ভি ওয়াই প্রকল্প রূপয়ণের কার্যকরী কাঠামো :-

১) স্থানীয় কৃষক গোষ্ঠী

২) রিজিওনাল কাউন্সিল (RC)

৩) জাতীয় জৈব কৃষি কার্যালয় (NCOF)

8) পি জি এস ইন্ডিয়া সেক্রেটারিয়েট

৫) জাতীয় উপদেষ্টা মন্ডলী (NAC)

চ) পি কে ভি ওয়াই প্রকল্প রূপায়ণের বিভিন্ন ধাপ :-

১) জৈব চাষের কৃষক গোষ্ঠী গঠন ও রিজিওনাল কাউন্সিল (RC)-এর মাধ্যমে নথীভুক্তকরণ।

২) কৃষক গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষামূলক পরিদর্শন।

৩) মুখ্য গোষ্ঠী সঞ্চালক কৃষক (LRP Led Resourceful Person) সনাক্তকরণ।

8) জৈব গ্রাম স্থাপন - সেখানে মাটি পরীক্ষা, ক্ষেত পরিদর্শন ও জৈব উপকরণ ব্যবহৃত হবে। 

৫) কৃষক গোষ্ঠীর পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সফল জৈব চাষ এলাকা পরিদর্শন ও মূল্যায়ন। অর্থাৎ কৃষকরা নিজেরা জৈব চাষ ও ফসল সংশিতকরণে কাজ দেখাশোনা

করবেন।

৬) উৎপন্ন জৈব পণ্যের গুণমান পরীক্ষার জন্য NABL স্বীকৃত ল্যাবরেটরিতে পাঠানো। 

৭) অনলাইনে পিজিএস শংসিকরণ। সংশ্লিষ্ট জৈব ফসল ক্ষেত রূপান্তরিত পদ্ধতির মধ্যে থাকলে দ্বিতীয় বর্ষে পি জি এস গ্রীণ এবং সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতির ফলে তৃতীয় বর্ষে পিজিএস অর্গানিক সার্টিফিকেট ও লেবেল পাওয়া যাবে।

৮) দেশীয় জৈব পণ্যের বাজার তৈরী ও শংসিত জৈব পণ্য সেই বাজারে নিয়মিত সরবরাহ।

ছ) জৈব চাষের কিছু কর্তব্য কর্ম :-

১) প্রথম বছর এক একটি ক্লাস্টারের (৫০ একর) চারপাশ ঘিরে পরিখা (Trench) খনন। এরপর প্রতি তিন বছর অন্তর এই কাজ করতে হবে।

২) ক্লাস্টার এলাকার সীমানা বরাবর ধৈইঞ্চা, অড়হর, সুবাবুল, গ্লাইরিসিউয়া প্রভৃতি গাছ লাগানো। ৩) চিরাচরিত জৈব কৃষি উপকরণ ব্যবহার - পঞ্চগব্য, জীবামৃত, আগ্নেয়াস্ত্র প্রভৃতি।

৪) উদ্ভিদজাত কীটনাশক ব্যবহার - নিম, আকন্দ, আতা, নিশিন্দা, করঞ্চা, ঢোলকলমী, পেয়ারা, পড়াশী প্রভৃতি গাছের পাতা, ছাল ব্যবহার।

৫) সুস্থায়ী চাষবাস পদ্ধতি অনুসরণ।

৬) কৃষি বর্জ্য পদার্থের পুনঃর্ব্যবহার।

৭) গবাদি পশুর মলমূত্র সার ও কীটনাশক হিসাবে ব্যবহার।

 জ) পি কে ভি ওয়াই প্রকল্পের সম্ভাব্য ফলশ্রুতি :-

১) আগামী ৩ বছরে ১০,০০০ কৃষক গোষ্ঠীর মাধ্যমে ৫ লক্ষ একর এলাকা জৈব চাষের অধীনে আনা।

২) পিজিএস জৈব সার্টিফিকেশানের মাধ্যমে দেশীয় জৈব পণ্যের বাজার তৈরি। ফলে ৫-১০ লক্ষ জৈব চাষে জড়িত কৃষক আর্থিক সহায়তায় লাভবান হবেন ।

৩) রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে চাষবাসের উৎপাদন খরচ কম হবে। মাটির স্বাস্থ্য উন্নত হবে এবং মাটিতে জৈব কার্বন সমৃদ্ধির ফলে পরিবেশ দূষণ কম ঘটবে। ৪) জৈব চাষ, জৈব পণ্য শংসিতকরণ ও বাণিজ্যের ফলে গ্রামীণ ও শহরে এলাকায় প্রায় ৩০ শতাংশ কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

৫) পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্য সমস্যা হ্রাস পাবে।

ঝ) পি. জি. এস - লোগো (Logo)

রূপান্তর পদ্ধতির চলাকালীন উৎপাদিত ফলস -

 পি. জি. এস-ইন্ডিয়া গ্ৰীণ

পি. জি. এস - লোগো (Logo) সম্পূর্ণরূপে জৈব ফসল

পি. জি. এস-ইন্ডিয়া অরগ্যানিক PGS-INDIA ORGANIC

  • জৈব শংসিতকরণ বোঝার উপায়
  • পি. জি. এস - শংসিত উৎপন্ন দ্রব্যে একটি অনন্য আই ডি কোড (ID CODE)
  • বিশেষ চিহ্ন থাকবে    

ঞ) ফসল - গবাদিপশু - মাছ সমন্বিত সুসংহত খামার ব্যবস্থাপনা

আজকের দিনের কৃষি অথবা আগামী দিনের চিরায়ত কৃষি তথা টেকসই কৃষির মূল কথাই হলো চাষবাস। কিন্তু কেবল মাত্র ক্ষেত ফসল, ডালশস্য, তৈলবীজ বা ধান, গম, পাট চাষকে নিয়ে কৃষি ব্যবস্থাপনা নয়। এটি হল সার্বিক কৃষি অর্থাৎ কৃষি ও কৃষকের আনুসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়গুলির সমন্বয়ের মাধ্যমে সমন্বিত কৃষি। কৃষি ব্যবস্থাকে চিরায়ত করে টিকিয়ে রাখতে গেলে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাকে গ্রহণ করতেই হবে। এখানে একদিকে যেমন গোবর সার থেকে ফসল পুষ্টি পাবে, রোগ-পোকা নিয়ন্ত্রণ বাড়বে, গোবর গ্যাস তৈরী হবে, অন্যদিকে তেমনই গবাদি পশুপালন এর মাধ্যমে গোবর তথা গোবর সার সরবরাহেও সুবিধা হবে। পুকুরে হাঁস চরে বেড়ায় আবার পার্ট পচানো হয়। পুকুরে মাছ ও হাঁস প্রতিপালন হয় সহজেই, একসঙ্গে। গবাদি পশু ফসলের অবশেষ, খইল-ভূষি খেয়ে বেঁচে থাকে এবং ফসলের জৈব পুষ্টি ও মাটির স্বাস্থ্য বর্ধনের উপযোগী মলমূত্র প্রদান করে। এখানে একটি মডেল সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাপনার ছক দেখানো হলো।

সমন্বিত পদ্ধতিতে চাষ করলে ঝুঁকি কম এবং বাইরে আলাদা কিছু সংগ্রহ করতে হয় কম ফলে জৈব পদ্ধতি অনুসরণ করা সহজ নিচে উল্লেখ করা হল -


১) ফসল উৎপাদন - ফসল এর উৎকৃষ্ট অংশ বাজার জাত হয় এবং অবশিষ্ট অংশ পশু খাদ্য ও বায়োগ্যাস বা জৈব সার ও ফসল আচ্ছাদন এর কাজে ব্যবহার করা যায়। 

২) গবাদি পশু পালন - পশুপালন এর জন্যে খাদ্য ফসলের অবশিষ্ট অংশ থেকে এবং এর থেকে উৎপন্ন দুধ বাজারজাত হয় , ছাগল হলে মাংসের জন্যে বিক্রয় হয়। মূল মূত্র থেকে বায়োগ্যাস এ কাজে লাগে।  বায়ো গ্যাস থেকে মিথেন গ্যাস জ্বালানির কাজে ব্যাবরিত হয় ও যে স্যালারি নির্গত হয় ফসল উৎপাদনের কাজে লাগে আবার মাছ চাষের জৈব খাদ্য তৈরিতে কাজে লাগে। 

৩) মাছ চাষ - পুকুরে হাঁস মুরগি পালন করা যেতে পারে , বৃষ্ঠাগুলি মাছের জৈব খাদ্যের যোগান দেয়।  পুকুরে অণুজীব ও বৃহৎ জীবের উদ্ভব হয় যা হাঁসের খাদ্য হিসাবে কাজে লাগে।  পুকুরের তলায় যা কিছু অবশিষ্ট জৈব খাদ্য পরে থাকে সব কিছু পচে পুকুরের পাক তৈরী হয় যা সংগ্রহ করে ফসল উৎপাদনে বা চারা তৈরিতে পুষ্টির যোগান দেয়। 

পুকুরের চারিদিক ঘিরে ফল , শাক সবজি চাষ করা যায় যা অসময়ে করলে অনেক বেশি টাকা মুনাফা পাওয়া যায়। 

ট) জৈব কৃষির প্রামাণ্য ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা নির্ধারণ সংস্থাগুলি :-

IFOAM :-

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত, হেড কোয়াটার্স জার্মানী, জৈব কৃষি সংস্থাগুলির কেন্দ্রীয় (Umbrella) সংস্থা। এই সংস্থাটি জৈব কৃষিতে আন্তর্জাতিক স্তরে মানদন্ডের ভিত্তি প্রস্তুত করেছে এবং ১৯৯২ সালে তা প্রতিষ্ঠিত করেছে। ২০০১ সালের জুলাই মাস থেকে আন্তর্জাতিক জৈব শংসাপত্র প্রদান পরিষেবা (IOAS) চালু করেছে।

CODEX :-

খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)'র যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কোডেক্স এলিমেনটারিয়াস কমিশন, ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এই সংস্থাটি জৈব উৎপাদনের বেশ কিছু দিক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।

EU regulation :-

কাউন্সিল রেগুলেশন নং ২০৯২/৯১ (জুন, ১৯৯১) এর মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নে জৈব মান নির্ধারণের জন্য মূল লক্ষণ রেখা তৈরী করা হয়েছে। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে জৈব উৎপাদনের মানের দিক নির্দেশিকা দেয় ।

Demeter :-

ডিমেটার ইন্টার ন্যাশনাল হলো আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপ-এর ১৯টি আন্তর্জাতিক শংসাকরণ সংস্থার বিশ্বব্যাপী জালিক কার্যক্রম (Network)। এটি বায়োডায়নামিক উৎপাদনের দিক নির্দেশিকা দেয়।

JAS :-

এটি জৈব উৎপাদনের জন্য জাপান কৃষি মানদন্ড (Japan Agricultural Standards) দ্বারা নির্ধারিত একগুচ্ছ দিক নির্দেশিকা।

APEDA :-

এটি ভারতের কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানী সংস্থা (Agricultural & Processed Food Exports Dev. Agency)। এটি ভারতে জৈব কৃষির প্রামাণ্য নির্ধারণে সাহায্য করে। কোডেক্স এর নিয়ম মেনে চলে।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)