পুকুরে দেশি মাগুর মাছের চাষ

Didibhai Agrofarm
0


সিউডোমোনাস প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মাগুর মাছের গায়ে ঘা, ঠোঁট লালচে হওয়া, শুড় খসে পড়া রোগের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিকার হিসেবে প্রতি কেজি পরিপূরক খাবারের সাথে ১০০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন বা সালফাডাইয়াজিন ৭ দিন ধরে প্রয়োগ করতে হবে।


মাগুর মাছ চাষ অন্যান্য মাছের তুলনায় লাভজনক চাষ এবং ছোট মাঝারি যেকোনো পুকুরে করা যায়। সঠিক পদ্ধতি গ্রহণে চাষীকে সফলতা এনে দেয়। 


    -

    ক) এককভাবে মাগুর মাছ চাষ :-

     সাধারণতঃ এককভাবে মাগুর মাছ চাষ পাঁচ থেকে ছয় মাসের। এ ধরনের একক মাছ চাষে পর্যায়ক্রমিক করণীয় কাজগুলি হল-

    ১) পুকুর নির্বাচন ,

    ২) পুকুরের পাড় সংস্কার ,

    ৩) পুকুর প্রস্তুতি ,

    ৪) চারা মজুত পদ্ধতি,

    ৫) পুরিপূরক খাদ্যে প্রদান  ,

    ৬) পুকুরে মাছের পরিচর্যা ,


    ১) পুকুর নির্বাচন :-

     ছোট অগভীর পুকুর, যেখানে জলের গভীরতা ৩ থেকে ৪ ফুট সেই সব পুকুর কেই মাগুর মাছ চাষের পক্ষে আদর্শ মনে করা যেতে পারে। পতিত বা হাজা-মজা পুকুরেও চাষ করা সম্ভব। পুকুরের আয়তন ৫ শতক থেকে ৩৩ শতক হলে ভালো হয়।

    ২) পুকুরের পাড় সংস্কার :-

     পুকুরের পাড় একটু চওড়া রাখা দরকার এবং পাড়ে যাতে ইঁদুর গর্ত না করতে পারে তার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বর্ষাকালে মাগুর মাছ বুকে হেঁটে বাইরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর জন্য পুকুরের পাড় একটু উঁচু রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হল পুকুরের পাড়ের উপর ১-১.৫ ফুট উঁচু ইঁটের প্রাচীর করে দেওয়া। এতে প্রাথমিক খরচ হলেও অনেকদিন স্থায়ী হয়। তাছাড়া পুকুরের পাড়ে চাটাই বা জালের বেড়া দেওয়া যেতে পারে।

    ৩) পুকুর প্রস্তুতি :- 

    পুকুর যদি শুকনো না থাকে তবে প্রথমে পুকুরের জলজ আগাছা অপসারণ করতে হবে। তারপর জাল দিয়ে বা প্রতি শতকে  তিন ফুট জলের জন্য ৪  কেজি মহুয়া খোল প্রয়োগ করে অবাঞ্ছিত মাছ তুলে ফেলতে হবে। মহুয়া খইল দেওয়ার ৭ দিন বাদে প্রতি শতকে ১ থেকে ১.৫ কেজি চুন গুলে সমভাবে জলে ছড়িয়ে দিতে হবে। চুন প্রয়োগের পরের দিন তলার মাটি ঘেঁটে দিতে হবে। এতে জৈব পদার্থের দ্রুত বিয়োজন হবে এবং মাগুর মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান তরান্বিত হবে। পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যকণা উৎপাদন ঠিকমত না হলে প্রতি শতকে ৫০ থেকে ৬০ কেজি গোবর প্রয়োগ করা দরকার।

    ৪) চারা মজুত পদ্ধতি :-

     প্রতি শতকে ২৫০ থেকে ৩০০ টি  মাগুর মাছের চারা ছাড়া যেতে পারে। চারার দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ২ ইঞ্চি হওয়া দরকার। চারাগুলি যেন সুস্থ, সবল ও শুড় যুক্ত হয়। চারাগুলি পুকুরে ছাড়ার আগে অবশ্যই শোধন করে নিতে হবে। শোধন করার জন্য লিটার প্রতি জলে ৮-১০ ফোঁটা ফরম্যালিন মিশিয়ে চারাগুলিকে ১০-১৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে বা ০.৩ শতাংশ অ্যাক্রোফ্লাভিন মেশানো জলে ৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে পুকুরে ছাড়তে হবে।

    আরও দেখুন -পাবদা মাছের চাষ ও প্রজনন

    ৫) পুরিপূরক খাদ্যের প্রদান :-

     মাগুর মাছের চারা পুকুরে ছাড়ার পরের দিন থেকেই পরিপূরক খাবার দেওয়া দরকার। পরিপূরক খাদ্যে প্রোটিনের শতকরা পরিমাণ কমপক্ষে ৩০ শতাংশ হওয়া দরকার। নিম্নমানের কমদামী শুকনো মাছ বা চিংড়ির গুঁড়ো, নষ্ট হওয়া চাল বা গম, চালের কুঁড়ো বা ছাগলের নাড়ি- ভুঁড়ি প্রভৃতি এই মাছকে খাবার হিসাবে দেওয়া যায়। তবে চালের কুঁড়ো, সরষে খোল ও মাছের গুঁড়ো সহজেই পাওয়া যায়। এই খাবারের মিশ্রণ ১ঃ১ঃ১ অনুপাতে মিশিয়ে নিয়ে পরিবেশন করতে হয়। মাছের দৈহিক ওজনের ৩-৫ শতাংশ হারে দৈনিক পরিপূরক খাবার দেওয়া হয়। আবার বাণিজ্যিক চাষের জন্যে বাজার থেকে ভালো কোম্পানির ভাসমান খাদ্য দিলে মোট মাছের ওজনের ২% প্রয়োজন হয়। যে পরিমান খাদ্য লাগবে সেটিকে ৩ বা ২ ভাগে ভাগ করে সন্ধ্যায় একবার , রাতে ১০ টার পর ও ভোরে একবার দেওয়া হয়। সাধারণত মাগুর মাছ দিনে নিচে শুয়ে থাকে এবং রাতে তাদের দৌরাত্ম বেড়ে যায় এবং খাদ্য গ্রহণ করে। 

    প্রতি মাসে একবার করে জাল দিয়ে মাছ ধরে দৈহিক ওজন নিয়ে তার উপর ভিত্তি করে প্রতিদিনের খাবার নির্দ্ধারণ করা উচিত। মাগুর মাছ সাধারণতঃ রাতের দিকে খেতে বেশী ভালোবাসে। দৈনিক খাবারের ৩০ শতাংশ ভোরবেলা এবং বাকী ৭০ শতাংশ সন্ধ্যেবেলা দেওয়া উচিত। 

    সাধারণতঃ ৩ টি  পদ্ধতিতে পুকুরে খাবার দেওয়া যায়-

    ক) মিশ্র গুঁড়ো খাবার পুকুরের জলের উপর ছড়িয়ে দেওয়। 

    খ) মিশ্র খাবার জল দিয়ে মেখে ঢেলা বা মন্ড তৈরী করে ঝুড়ি বা মাটির পাত্রে পুকুরের তলায় বিভিন্ন জায়গায় রেখে দিলে মাছ ভালোভাবে খায়। এর সুবিধা হল যে, মাছ কতটা খাবার খেয়েছে তা সহজেই জানা যায় এবং সেই মত খাবারের পরিমাণ ঠিক করা যায়।

    গ) ক্রয়কৃত ভাসমান  ফিড নির্দিষ্ট জায়গায় পরিবেশন করা হয়। 

    পরিপূরক খাদ্যের কয়েকটি খাদ্যের  উপকরণ ও তাদের মিশ্রণ অনুপাত দেওয়া হল-

    ক) স্বল্প মূল্যের শুটকি মাছ/চিংড়ি/রেশম গুটি পোকার গুঁড়ো :

    চালের কুঁড়ো : বাদাম খইলের গুঁড়ো/সরষের খইলের গুঁড়ো ১ঃ১ঃ১ অনুপাতে সমপরিমানে মিশিয়ে খাদ্য তৈরী হয়। 

    খ) সামুদ্রিক মাছের গুঁড়ো : বাদাম খইলের গুঁড়ো : গোবর গ্যাস স্লারি ১ঃ১ঃ১ অনুপাতে সমপরিমানে মিশিয়ে খাদ্য তৈরী হয়। 

     গ) ঝিনুক বা শামুকের মাংস : বাদাম খইলের গুঁড়ো : চালের কুঁড়ো ১ঃ১ঃ১ অনুপাতে সমপরিমানে মিশিয়ে খাদ্য তৈরী হয়। 

    ঘ) মুরগীর নাড়ি-ভুঁড়ি সিদ্ধ : সয়াবিন খইলের গুঁড়ো : চালের কুঁড়ো ১ঃ১ঃ১ অনুপাতে সমপরিমানে মিশিয়ে খাদ্য তৈরী হয়। 

    ঙ) মাছের নাড়ি-ভুঁড়ি : সয়াবিন খইলের গুঁড়ো : চালের কুঁড়ো ১ঃ১ঃ১ অনুপাতে সমপরিমানে মিশিয়ে খাদ্য তৈরী হয়। 

    চ) সামুদ্রিক মাছ সিদ্ধ : সয়াবিন খইলের গুঁড়ো : চালের কুঁড়ো ১ঃ১ঃ১ অনুপাতে সমপরিমানে মিশিয়ে খাদ্য তৈরী হয়। 

    আরও দেখুন -পুকুরে সার প্রয়োগ করে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি পদ্ধতি ,, জু প্লাংকটন,ফাইটো প্লাংকটন তৈরি পদ্ধতি ,

    ৬)পুকুরে মাছের পরিচর্যা:-

    ক) প্রতি ১৫ দিন বা মাসে অন্তত একবার জালের সাহায্যে ৪০-৫০ টি মাছ ধরে নমুনা পরীক্ষা করা দরকার। সেই সঙ্গে মাছের স্বাস্থ্য ও তাদের বৃদ্ধির হারও মাপা দরকার। মাছের বৃদ্ধির সাথে সমতা রেখে পরিপূরক খাদ্যের পরিমাণও বাড়ানো যেতে পারে।

    খ) পুকুরে রাসায়নিক সারের ব্যবহার হয় কিন্তু পরিপূরক খাদ্যের জন্যে পুকুরে জু প্লাঙ্কটনের খাদ্য উপস্থিতি জরুরি। এর জন্যে প্রতি মাসে একবার প্রতি শতকে ২০০ গ্রাম রাইস ব্র্যান ২০ গ্রাম মোলাসেস বা চিটে গুড় ও ১ গ্রাম ইস্ট (ইস্টকে সামান্য হালকা গরম জলে  মিশিয়ে নিতে হয় ) সব গুলিকে একত্রে করে তাঁর ৩থেকে ৪ গুন্ জল মিশিয়ে একটি বড়ো পাত্রে২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে পরের দিন উপরের জল টুকু সমস্ত পুকুরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং পাত্রে জমে থাকা অংশে আবার জল পরিপূর্ণ করে দিয়ে পরের দিন পুকুরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। 

    গ। প্রতি মাসে একবার ৩ ফুট জল থাকলে প্রতি শতকে ২০০ গ্রাম চুন ও ২০০ গ্রাম লবন দেওয়া হয়। 

    ঘ। প্রতি শতকে মাসে একবার ৫০ গ্রাম মোলাসেস গুলিয়ে পুকুরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এতে অতিরিক্ত এমোনিয়া ভেঙে ফেলে এবং লবন চুনের ব্যবহারে মাছের মল ও অব্যবরিত খাদ্য গুলি শোধন হয়ে বায়োফ্লকে রূপান্তরিত হয় খাদ্য কম লাগে ও রোগ কম হয়। 

    ঙ) মাসে একবার শতকে ৪ কেজি গোবর বা কম্পোস্ট ব্যবহার করা হয়। 

    ৮) মাছ উৎপাদন :-

     মাগুর মাছ ৬-৭  মাসে বিক্রয় উপযোগী হয়। মাছের ঘনত্ব শতকে ৩০০ টি দিয়ে আধা নিবিড় চাষ পদ্ধতিতে হলে মাগুর মাছ সাধারণতঃ ৬ -৭  মাসে ১২৫-১৫০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে। এ ধরণের চাষে ক্ষেত্রে  মাছের বাঁচার হার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ। ৬-৭ মাসে  শুধু মাগুর মাছ চাষে প্রতি শতকে ২৫ কেজি থেকে ৩৫ কেজি মত উৎপাদন পাওয়া যায়।

    আরও দেখুন -শোল মাছের চাষ ও প্রজনন প্রযুক্তি -পুকুরে/ট্যাঙ্কে

    খ) পোনা ও মাগুর মাছের একত্রে চাষ :-

    যে সমস্ত পুকুরে পোনা মাছের চাষ হয় সেই সব পুকুরে পোনা মাছের সঙ্গে মাগুর মাছের চাষও করা যায়। পুকুরের নীচের স্তরে বসবাসকারী মাছ যেমন মৃগেল ও সাইপ্রিনাস কার্পের সংখ্যা কমিয়ে বা বাদ দিয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক মাগুর মাছের চারা ছাড়া যায়। চারার দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ৫ সেমি হওয়া প্রয়োজন। এদের জন্য আলাদা কোন খাবার দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। পোনা মাছের খাবারই এরা খায়। পুকুরের নীচের স্তরের মাছ বাদ দিলে প্রতি শতকে  ২৫ -৩০ টি মাগুরের চারা মজুত করা যেতে পারে। 

    গ) মাগুর মাছ ধরার কৌশল:-

    একক চাষের ক্ষেত্রে মাগুর মাছ ছোট পুকুর হলে বাজার বুঝে আহরণ করা সহজ হয়। জাল টেনে প্রথম দিকে বেশির ভাগ মাছ উঠে যায় তবে বাকি মাছ পুকুর শুকিয়ে ধরতে হয়। পোনা মাছের মজুত পুকুরে মাগুরের ফলন তোলা কষ্টকর ব্যাপার। পুকুর শুকনো না করলে সম্পূর্ণ মাছ পাওয়া যায় না। পুকুরের বিভিন্ন জায়গায় যদি মাটির কলসী ফেলে রাখা যায় তাহলে প্রায় ৫০ শতাংশ মাগুর মাছ ধরা পড়ে কারণ এরা এই সব কলসীকে নিজেদের বাসস্থান হিসাবে ব্যবহার করে।

    ঘ) মাগুর মাছ চাষে পরিবেশ গত সমস্যার সমাধান:-

    ১) পুকুরের জলের গভীরতা কম থাকলে গরমের সময় জলের উষ্ণতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। চাষের পুকুরের জলের উষ্ণতা অবশ্যই ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে রাখতে হবে। গরমকালে জলের গভীরতা অন্তত ১ মিটার রাখলে এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়।

    ২) গরমে অতিরিক্ত শ্যাওলা জন্মালে জলের স্বচ্ছতা হ্রাস পায়। ভোরের দিকে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। জলে কখনও কখনও দ্রবীভূত অ্যামোনিয়া বাড়ে। এই সময় পরিপূরক খাবার কয়েকদিন বন্ধ রাখতে হবে এবং সম্ভব হলে জল পাল্টাতে পারলে ভালো।

    আরও দেখুন -মুক্তা চাষ পদ্ধতি । সরকারিভাবে মুক্তা চাষের প্রশিক্ষণের জন্যে আবেদন-

    ঙ)মাগুর মাছের রোগ:-

    ১) সিউডোমোনাস প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মাগুর মাছের গায়ে ঘা, ঠোঁট লালচে হওয়া, শুড় খসে পড়া রোগের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিকার হিসেবে প্রতি কেজি পরিপূরক খাবারের সাথে ১০০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন বা সালফাডাইয়াজিন ৭ দিন ধরে প্রয়োগ করতে হবে।

    ২) ব্যাকটেরিয়া ঘটিত মাগুর মাছের পেটে জল জমা রোগের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিকার হিসাবে প্রতি কেজি পরিপূরক খাবারের সাথে ১০০ মিলিগ্রাম অ্যান্টিবায়োটিক ৭ দিন ধরে প্রয়োগ করতে হয়।

    ৩) এক প্রকার কৃমি দ্বারা মাগুর মাছের পেট ফোলা রোগের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিকার হিসাবে আক্রান্ত মাছকে পুকুর থেকে তুলে ফেলতে হয়।

    তথ্য সূত্র -

    ১) মৎস বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার। 
    ২) কাজী আবেদ লতীফ -  বাংলাদেশ উপজেলা মৎস বিভাগ প্রাক্তন আধিকারিক। 

    FAQ

    ১) মাগুর মাছ চাষ কি লাভ জনক ?

    হ্যা মাগুর মাছ চাষ একটি  লাভ জনক চাষ যদি চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে বা প্রশিক্ষণ নিয়ে করা হয়। 

    ২) ১ বিঘা পুকুরে কত সংখ্যক মাগুর মাছ চাষ করা যায় ?

    সাধারণ পদ্ধতিতে এরিয়েটর ছাড়া একক চাষ করলে ৮০০০ -১০০০০ মাছ চাষ করা যায়। পোনা মাছের সাথে চাষ করলে বিঘা প্রতি প্রতি শতকে  ২৫ -৩০ টি মাগুরের চারা মজুত করা যেতে পারে পুকুরের নিচের স্তরের মৃগেল ও সরপ্রিনার্স মাছের পরিবর্তে । 

    ৩) মাগুর মাছের গায়ে ঘা, ঠোঁট লালচে হওয়া, শুড় খসে পড়া রোগের কারণ ও প্রতিকার কি ?

    সিউডোমোনাস প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মাগুর মাছের গায়ে ঘা, ঠোঁট লালচে হওয়া, শুড় খসে পড়া রোগের সৃষ্টি হয়। এর প্রতিকার হিসেবে প্রতি কেজি পরিপূরক খাবারের সাথে ১০০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন বা সালফাডাইয়াজিন ৭ দিন ধরে প্রয়োগ করতে হবে।

    আরও দেখুন -

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0মন্তব্যসমূহ

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)