শিমুল আলু. মাটির নিচে জন্মে একধরণের শিকড়জাত আলু। এর ইংরেজি নাম কাসাভা (cassava ) এবং বৈজ্ঞানিক নাম( Manihot esculenta)। , উন্নয়নশীল বিশ্বে শিমুল আলু একটি প্রধান খাদ্য, যা পঞ্চাশ লক্ষ মানুষের মৌলিক খাদ্য। এটি প্রধানত দক্ষিণ আমেরিকার একটি গুল্ম জাতীয় ফসল। বর্তমানে ভারত তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে। বাজারে যা চাহিদা তার তুলনায় মাত্র ১০% চাষ হয়ে থাকে।
কাসাভা থেকে সাগু তৈরী হয়। এমনকি অ্যালকোহলও তৈরী হয়। প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য পাওয়া যায়৷ শিকড়টি কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। সেদ্ধ করে খাওয়া হয় এবং খেতে মিষ্টি আলুর মতো সুস্বাদু হয়ে থাকে। এটি দিয়ে বিভিন্ন রোগের ঔষধও তৈরী হয়।
১.চাষের সময়:
মার্চ মাসে কাটিং থেকে নার্সারিতে চারা করে লাগালে ভালো হয় ।
2.জমি ও মাটিঃ
উঁচু ও মাঝারি জমি৷ দোঁয়াশ ও বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে ভালো হয়৷ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর ও বীরভূমের লাল কাঁকুরে মাটিতেও ভালো ফলন পাওয়া গেছে।
3.সেচ ব্যবস্থা :
লাগানোর সময় সেচ দিতে হয়। বর্ষা এসে গেলে আর সেচের দরকার হয় না।
4.বীচন জাত :
শিমূল আলু অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালার উচ্চ ফলনশীল জাত৷ শ্ৰীজয়া (সি-১-৬৪৪) ৬-৭ মাস।
৫ .ফসলের মেয়াদঃ
৬-১০ মাস।
আরও দেখুন -শতমূলী চাষ পদ্ধতি
6.সারি ও গাছের দূরত্ব:
ডাল কেটে (শাখা কলম বা কাটিং) বসাতে হয়৷ অন্তত দুটি গাঁট যুক্ত এক একটি কাটিং দৈর্ঘ্য ২৫-৩০ সেমি বা ৯-১২ ইঞ্চি রাখতে হয়।
সারিতে লাগানোই সুবিধা৷ সারি থেকে সারি ও সারিতে গাছের দূরত্ব ৯০ সেমি বা ৩ ফুট।
7.সার প্রয়োগ :
বিঘা প্রতি ১৩০০-১৫০০ কিলো গোবর বা কম্পোস্ট সার ও ২৫-৩০ কিলো অ-খাদ্য খোল(নিম, করঞ্জ, রেড়ি ইত্যাদি) দিলেই ভালো।
8.সাথি ফসল:
অড়হর, বরবটি, বিভিন্ন সবজি ইত্যাদি৷
৯.উৎপাদন :
২৫০০-৩৫০০ কিলো বিঘা প্রতি ফলন হয়। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের বামুনডিহার শ্রী সনৎ মুর্মু '৯৯ সালে কাঠা প্রতি ১০০ কেজি আলু (প্রতি গাছ থেকে ৫ কেজি) ও বেশ কিছু কাটিং ফলিয়েছেন৷ এলাকায় কাসাভা জনপ্রিয় হয়েছে। শ্রীজয়া জাতটি বিঘা প্রতি ২৫০০-৩৫০০ কিলো ফলন দেয়৷
১০.তথ্য সূত্র -
ড: বিবেকানন্দ সান্যাল -লোক কল্যাণ পরিষদ।
আরও দেখুন