ফসল উৎপাদনে মাটির গুরুত্ব আলোচনা

Didibhai Agrofarm
0
ফসল উৎপাদনে মাটির গুরুত্ব আলোচনা

ফসল উৎপাদনের প্রধান উপাদান মাটি ,জল ,বায়ু, সূর্যের আলো। এই চারটি  উপাদানের মধ্যে ফসল ধারণ করে রাখে মাটি। ফসল ধারণ করার জন্যে মাটির প্রধান উপাদান  জৈব পদার্থ ,খনিজ পদার্থ ,জল। গাছপালা বা শস্য এর প্রধান খাদ্য হল  নাইট্রোজেন ,ফসফরাস ,পটাসিয়াম ,সালফার ,ও ম্যাগ্নেসিয়াম এবং গাছের প্রধান অনুখাদ্য বােরন, ক্লোরিন, কপার (তামা), আয়রন (লােহা), ম্যাঙ্গানিজ, মলিবডেনাম ও জিংক (দস্তা)। এই সব কিছুই মাটির মধ্যে থাকে। মাটিতে ফসল চাষ করতে হলে মাটির পি এইচ ,মাটির জীবাণু এবং হিউমাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে আরও ভালো বুঝা যাবে ফসল চাষে মাটির গুরুত্ত বুঝে মাটির স্বাস্থ রক্ষার জন্যে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। 

     1.মাটি বলতে কী বুঝি ?

    পৃথিবীর খােলসের সবচেয়ে ওপরের স্তরকে আমরা বলি ‘মাটি। পৃথিবীকে যদি একটি কমলালেবু মনে করি, তাহলে তার খোসাকে আমরা তার সবচেয়ে ওপরে স্তর বলতে পারি। সেই খােসারও সবচেয়ে ওপরের অংশকে মাটি বলা হয়। কমলালেবু একটা ছােটো জিনিস। তাই তার খােসা মিলিমিটার দুয়েক মােটা। এরও আবার ওপরের স্তব ভাবলে তা হবে ফিনফিনে পাতলা একটা কিছু। কিন্তু পৃথিবী কমলালেবুর থেকে কয়েক লক্ষ গুণ বড়াে। ফলে তার খোসার ওপরের অংশের গভীরতাও অনেক বেশি। তাই এই পরের অংশ বা। মাটি অনেক জায়গায় কয়েকশাে মিটার বা তারও বেশি গভীর হতে পারে। তার নীচে পাথর। আবার এমন জায়গা আছে যেখানে কয়েক ইঞ্চি মাটির নীচেই পাথর বেরিয়ে যেতে পারে।

     2.মাটির উপাদান কী? 

     মাটির উপাদান হল খনিজ পদার্থ, জল এবং জৈব পদার্থ। এই জৈব পদার্থ মাটিতে কোথা থেকে এল? আসলে যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর সন্তান উদ্ভিদ ও অন্য প্রাণিরা মাটির ওপরে। বাস করেছে। পৃথিবীর অনেক সন্তান মাটির মধ্যেও বাস করেছে এবং করে, যেমন নানারকম পােকামাকড়)। আর যুগ যুগ ধরে এই সব সন্তানরা মরছে। এই সব প্রাণি ও উদ্ভিদের মল মূত্র ও মৃতদেহ পচছে ও মাটিতে মিশছে। পচছে কীভাবে? মার্টির মধ্যে রয়েছে অসংখ্য জীবাণু। তারা এইসব পদার্থ খায়।। তাদের খাওয়ার প্রক্রিয়ায় এগুলাে পচে। জৈব পদার্থ বলতে আমরা বুঝি এই সব প্রাণি ও উদ্ভিদের মৃত শরীরের পচা অংশের অবশিষ্ঠ, এবং যে অসংখ্য জীবাণুর কথা বললাম, সেই সব জীবাণুরা। এছাড়াও রয়েছে আরও অন্য প্রাণি—যেমন কিনা কেঁচো, পিপড়ে এবং আরাে বহু ধরনের পােকা। এদেরও মাটি নামক দুনিয়ার বাসিন্দা হিসেবে দেখতে হবে।

    কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে ম্যটির মধ্যে আরও একটা জিনিস থাকে। তা হল বাতসি। মাটির কণিকার ফাঁকে ফাঁকে বাতাস থাকে।

    মাটিতে বাতাসের অস্তিত্ব একটু পরখ করেও দেখা যায়। খুব ভিজে নয়, এমন কিছুটা মাটি একটা পাত্রে নেওয়া হল। তাতে জল ঢালা হল। দেখা যাবে বুদবুদ উঠছে। আসলে মাটির কণিকাগুলাের ফাঁকে জল ঢুকে যাওয়ায় বায় বেরিয়ে আসছে।

     আরও দেখুন -ঘনজীবামৃত জৈব সার তৈরি পধতি

    তবে, সাধারণভাবে চাষির করিবার মাটির গোটা স্তরটিকে নিয়ে নয়। তাঁর কারবার মাটিরও যেটি ওপরের স্তর, তাকে নিয়ে(Top Soil )।  এই উপরের মাটির উপর নির্ভর করেই চাষবাস হয়। এই টপসয়েলের গভীরতা মােটামুটিভাবে ২ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি। তবে কোথাও তা ৪-৫ ফুটও হতে পারে।

    এই উপরের মাটি কী দিয়ে তৈরি? উপরের মাটিরও উপাদান খনিজ পদার্থ, জল এবং জৈব পদার্থ (প্রাণিশরীরের পচা অংশ এবং কোটি কোটি জীবাণু) এবং বাতাস। তবে, নীচের তলার মাটির তুলনায় টপসয়েল বা উপরের মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি। এই জন্য উপরের মাটির রঙ নীচের মাটির তলনায় বেশি কালচে হয়। টপসয়েলে মিশে থাকা পচা জৈব পদার্থকে অনেক সময় হিউমাস বলা হয়।

    তাছাড়াও, উপরের মাটিতে বাতাসের পরিমাণ বেশি। (মাটি খুব কাদা হলে অবশ্য মাটির কণার ফাঁকে জলের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে বায়ুর পরিমাণ খুব কমে যায়। মনে রাখতে হবে যে গাছপালা ও শস্যের জন্য মাটিতে শুধু জল নয়, বাতাসেরও দারুণ গুরুত্ব রয়েছে। গাছের শিকড় মাটি থেকে জল শুষে নেয় এটা আমরা জানি। কিন্তু, শিকড়ের কোষগুলির শ্বাস নেওয়ার জন্য বাতাসের (নির্দিষ্টভাবে অক্সিজেনের) দরকার হয়। তাই, পুরােপুরি জল-কাদা হয়ে গেলে মাটিতে বায়ু থাকে না ফলে শিকড় নির্জীব হয়ে পচে গিয়ে উদ্ভিদ মরে যেতে পারে। এই কারণে, চাষের একটি জরুরি লক্ষ্য হল মাটিতে বাতাসের পরিমাণ বাড়ানাে। যে পদ্ধতি মাটিতে বাতাসের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে তা আমাদের কাম্য। তবে বিশেষ কিছু উদ্ভিদের পারে কাদা-মাটিতে টিকে থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে। যেমন কিনা ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ, যারা। কাদার ওপরে শ্বাসমূল পাঠিয়ে দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস চালায়। বহু ধানের প্রজাতিও জল-কাদার মধ্যে বহাল। তবিয়তে টিকে থাকে শুধু নয়, দিব্বি বাড়ে। তাদের শিকড়ে অক্সিজেন পৌছে দেওয়ার অন্য ব্যবস্থা আছে।

     3.পিএইচ (pH) 

     চাষের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব কী? সহজভাবে বললে, পি.এইচ. হল অম্লত্ব বা ক্ষারত্বের মাপ। অম্লত্ব কী? সহজ বাংলায় বলতে গেলে, টোকো ভাব। ক্ষারত কী? চুন সােডা, সাবান, জাতীয় জিনিসের যে চরিত্র থাকে, সেই চরিত্র বা ভাব।। কোনাে কিছুর পি.এইচ. বলতে বােঝায় সেই বস্তুর অম্লত্ব বা ক্ষারত্বের মাত্রা। এই মাপটি করা হয় ০ থেকে ১৪ সংখ্যা ব্যবহার করে। সংখ্যা ৭-এর কম হলে বস্তুর অম্লত্ব নির্দেশ করে (অর্থাৎ বস্তুটিতে ‘টোকো’ ভাব বেশি আছে), আর সংখ্যা ৭-এর বেশি হলে বস্তুর ক্ষারত্ব নির্দেশ করে। অর্থাৎ অম্লত যত বাড়বে, সংখ্যা ৭এর তত কম হবে। আর ক্ষারত্ব যত বাড়বে, সংখ্যা ৭-এর তত বেশি হবে। ঠিক ৭ হলে বুঝতে হবে তা অন্নও নয়, ক্ষারও নয়। বিশুদ্ধ জলের পি,এইচ, ৭। তবে প্রকৃতিতে জল একদম বিশুদ্ধ পাওয়া যায় না, তাই ভালাে জলের-ও পি.এইচ-ও ৭-এর অল্প একটু এদিক ওদিক হতে পারে।

    যে কোনাে চাষের ক্ষেত্রেই, অম্লত্ব বা ক্ষারত্বের গুরুত্ব রয়েছে। মাটি বেশি অম্ল বা বেশি ক্ষার হয়ে গেলে চাষ ভালাে হবে না। দেখা গেছে যে প্রায় সব উদ্ভিদের ক্ষেত্রেই মাটির পি.এইচ. ৫.৫ থেকে ৮-এর মধ্যে থাকতে হবে। তবে এক একটি উদ্ভিদের ক্ষেত্রে সংখ্যাগুলাে এক এক রকম হবে। যেমন ধানের ক্ষেত্রে। পি এইচ. ৫৫ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে থাকলে ভালাে, গমের ক্ষেত্রেও তাই। বাঁধাকপির ক্ষেত্রে ৫.৬ থেকে ৬ ৬ থাকলে ভালাে হয়, আর ফুলকপির ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৭। তবে দেশীয় প্রজাতি বা হাইব্রিড প্রজাতির ক্ষেত্রে অপ তারতম্য হতে পারে। পি.এইচ. মিটার দিয়ে মাপা যেতে পারে।

    মাটির ক্ষেত্রে যা সত্যি, জলের ক্ষেত্রেও তাই। মাছ চাষের জন্যেও জলের পি.এইচ, মাপা দরকার। সাধারণভাবে মাছ চাষের জন্য জলের পি এইচ, ৭.৫ থেকে ৮.৫-এর মধ্যে থাকলে ভালাে হয়।

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পি এইচ কমে যাওয়ায় (মানে অন্নত বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা হয়। তখন চুন দিয়ে । অরুত্ব কমানাের অর্থ পি এইচ বাড়ানাের দরকার হয়।

    আরও দেখুন -অমৃত জল বা মিরাক্কেল জৈব তরল সার তৈরী পদ্ধতি

    4. মাটিতে জীবাণুদের ভূমিকা 

     আগেই বলা হয়েছে যে মাটি, বিশেষত উপরের স্তরের মাটি, লক্ষ কোটি জীবাণুর বাসা। এই জীবাণু প্রধানত ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাস (ছত্রাক)। মাটিতে এত বেশি জীবাণু থাকে যে এক চিমটে স্বাভাবিক মাটিকে জীবাণুর মহানগরী বলা চলতে পারে। মাটি তাই মৃত জিনিস নয়, তা ভীষণ জীবন্ত।

     মৃত প্রাণি বা উদ্ভিদের শরীর পচে মাটির মধ্যে মেশে। মাটির মধ্যে জীবাণুরা মৃত জৈব পদার্থকে পচানাের মাধ্যমে তার মধ্যে কতগুলি জরুরি উপাদানকে মুক্ত। করে। এর মধ্যে আছে নাইট্রোজেন, সালফার (গন্ধক) ও ফসফরাস, পটাশিয়ামের মতাে পদার্থ। এগুলি। কিন্তু উদ্ভিদের ভীষণ জরুরি খাদ্য। এগুলি তখন গাছপালা ও শস্যের ব্যবহারের যােগ্য হয়। শুধু জৈব পদার্থ। থেকে নয়, মাটিতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে যারা সরাসরি বাতাস থেকে নাইট্রোজেন সংগ্রহ করতে পারে। এর মধ্যে এক জাতির ব্যাকটেরিয়া হল অ্যাজটোব্যাকটার (Azatobacter)। এই ধরনের নাইট্রোজেন-সংগ্রাহক ব্যাক্টেরিয়া অনেকে মাটির মধ্যে থাকে। কিন্তু কিছু বিশেষ নাইট্রোজেন-সংগ্রাহক। ব্যাকটেরিয়া থাকে ডাল-জাতীয় উদ্ভিদের শিকড়ে। এদের মধ্যে রাইজোবিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়ার নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। এই কারণে মাটিতে নাইট্রোজেন বাড়ানাের জন্য হামেশাই ডাল-জাতীয় শস্য। লাগানাে হয়।

    এখানে আর একটা কথা আছে। জীবাণুদেরও বাতাস দরকার হয়। বেশিরভাগ জীবাণুরই অক্সিজেন দরকার হয়। তাছাড়া বাতাস না পেলে নাইট্রোজেন সংগ্রাহক ব্যাকটেরিয়া নাইট্রোজেন সংগ্রহ করবে কী করে? এই সব কারণেও মাটিতে বাতাসের পরিমাণ বেশি হওয়া দরকার।

    5. হিউমাস (humus) বলতে কী বুঝি? 

    জীবাণুর ক্রিয়ায় মাটির মধ্যে জীবের মলমূত্র এবং মৃত জীবশরীর ক্রমশ পচে গিয়ে তার মধ্যে মূল্যবান। রাসায়নিক পদার্থগুলি জৈব পদার্থ থেকে মুক্তি পেয়ে গাছপালা বা শস্যের জন্য ব্যবহারযােগ্য হয়। অনেকসময় যে মাটির মধ্যে এই পচনশীল বা অনেকদূর পচে যাওয়া জৈব অংশটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। তাকে হিউমাস বা সারমাটি বলা হয়। একটি উর্বর এলাকায়, যেখানে প্রচুর গাছপালা রয়েছে, সেখানে মাটির উপরের অংশের (টপসয়েলের) সবচেয়ে উপরের অংশে অনেক সময়ই প্রচুর পচা বা পচনশীল জৈব পদার্থ থাকে। এই অংশের রঙ বেশ কালচে হয়। এটাকেও অনেক সময় হিউমাস বলা হয়। মাটিবিজ্ঞানীরা অবশ্য হিউমাস বলতে একটু অন্য জিনিস বােঝেন। আমরা দেখেছি যে জৈব পদার্থ থেকে জীবাণুঘটিত পচনের প্রক্রিয়ায় নাইট্রোজেন, ফসফরাস, সালফার, ম্যাগনেশিয়াম, প্রভৃতি মূল্যবান উদ্ভিদ খাদ্যগুলি বেরিয়ে এসে গাছপালা ও শস্যের ব্যবহারযােগ্য হয়। জৈব বস্তু থেকে এইগুলাে বেরিয়ে যাওয়ার পর যা থাকে তা হল কালচে থকথকে একটা বস্তু যা কিনা কার্বনের অনেকরকম যৌগের সমষ্টি। এগুলি সরাসরিভাবে গাছপালার খাদ্য হয় না। তাই হিউমাসকে ঠিক খাদ্য বলা যাবে না। এ সত্ত্বেও চাষের জন্য হিউমাসের গুরুত্বের সীমা নেই। 

    6.হিউমাসের গুরুত কী?

    হিউমস নিজে খাদ্য না হলে কী হবে, তার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে মাটির মধ্যে অ্যামােনিয়া, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম প্রভৃতি বেশ কয়েকটি উড়িনখাদ্যকে ধরে রাখতে পারে, যাতে তারা সহজে মাটি থেকে জলের সঙ্গে বেরিয়ে না যায় (যেমন কিনা অতিরক্ত বৃষ্টিপাতের পরে হতে পারে)। আবার হিউস মাটিকে ঠিক ততটুকু ঝুরঝরে সাহায্য করে যতটা মাটির মধ্যে বাতাসের জায়গা করে দেওয়ার জন্য। জরুরি আর একইভাবে মাটির মধ্যে জল ছড়িয়ে যাওয়ার জন্যও জরুরি।।

    উলটো দিকে, তা বেশি ঝরঝরে মাটিকে কিছুটা বেধে রেখে মাটির জলধারণ ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দেয়। | আরও আছে। হিউমাসের নিজের চরিত্র একটু অন্ন হলে কী হবে, মাটিতে মিশে তা অদ্ভুতভাবে মাটির অম্লত্ব কমাতে

    সাহায্য করে। (অনেকটা পাতিলেবুর মতাে। পাতিলেবুর রস অন্ন। কিন্তু লেবুর রস জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে মানুষের পেটে গিয়ে অম্বল কমাতে সাহায্য করে।) শেষ একটা কথা: হিউমাস মাটিতে প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়। কিন্তু তার পরিমাণ চাষের জন্য যথেষ্ট নাও হতে। পারে। জৈব সারের মজাই হল যে তা জৈব পদার্থের পচনের মাধ্যমে তৈরি হয় বলে মাটিতে হিউমাসের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।

     আরও দেখুন -কেঁচো সার তৈরী পদ্ধতি

    6.FAQ(প্রায়ই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর)

    6.1.মাটির কোন উপাদানগুলিকে উদ্ভিদের প্রধান খাদ্য বলা হয় ?

    নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, সালফার (গন্ধক), ও ম্যাগনেশিয়াম।

    6.2. মাটির কোন উপাদানগুলিকে উদ্ভিদের  অনুখাদ্য বলা হয়? 

    বােরন, ক্লোরিন, কপার (তামা), আয়রন (লােহা), ম্যাঙ্গানিজ, মলিবডেনাম ও জিংক (দস্তা)।

    6.3.ভালো ফসল উৎপাদনের জন্যে মাটির পি এইচ কত থাকা আবশ্যক ?

     প্রায় সব উদ্ভিদের ক্ষেত্রেই মাটির পি.এইচ. ৫.৫ থেকে ৮-এর মধ্যে থাকতে হবে। তবে এক একটি উদ্ভিদের ক্ষেত্রে সংখ্যাগুলাে এক এক রকম হবে। যেমন ধানের ক্ষেত্রে। পি এইচ. ৫৫ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে থাকলে ভালাে, গমের ক্ষেত্রেও তাই। বাঁধাকপির ক্ষেত্রে ৫.৬ থেকে ৬ ৬ থাকলে ভালাে হয়, আর ফুলকপির ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৭। তবে দেশীয় প্রজাতি বা হাইব্রিড প্রজাতির ক্ষেত্রে অপ তারতম্য হতে পারে। পি.এইচ. মিটার দিয়ে মাপা যেতে পারে।

    তথ্য সূত্র - 

    1.ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান কেন্দ্র 

    2.দিশা ফাউন্ডেশন কলকাতা 


    আরও দেখুন - 

    পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ধানের রোগপোকা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
    গােবর গ্যাস স্লারি কি ?এবং কৃষি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার -
    ফসফো কম্পোস্ট কি ?ফসফো কম্পোস্ট সার তৈরী সহজ পদ্ধতি এবং ব্যবহার
    সুস্থায়ী কৃষি ব্যবস্থাপনা জৈব সারের গুরুত্ব
    জৈব কীটনাশক তৈরী পদ্ধতি
    বোর্দ্য দ্রবণ তৈরী পদ্ধতি। ভাইরাস নাশক তৈরী পদ্ধতি। SPNF
    জৈব চাষে রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণে সবচয়ে ভালো 16 টি সহজ ও পরিবেশমুখী কীটনাশক , ছত্রাক নাশক টোটকা
    দ্রুত কম্পোস্ট সার তৈরী পদ্ধতি
    তরল জৈব সার তৈরী ও ব্যবহার পদ্ধতি -
    সবুজ সার ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়িয়ে তোলা যায় সহজেই
    সবুজ সার কি? সবুজ সার তৈরী পদ্ধতি -
    কেঁচো সার তৈরী পদ্ধতিগোবর দিয়ে নার্সারির জন্যে পরিবেশবান্ধব টব বা পট তৈরীর সহজ পদ্ধতি-
    জৈব কীটনাশক অগ্নিঅস্ত্র কি ? কিভাবে তৈরি করবেন ? কিভাবে ব্যাবহার করবেন ? চাষের জন্যে কতটা লাভদয়ক ?
    জীবান্মৃত কিভাবে তৈরি করব ? জৈব চাষে জীবান্মৃত কিভাবে কাজ করে ? এবং এর ব্যাবহার কিভাবে হয় ?
    অমৃত জল বা মিরাক্কেল জৈব তরল সার তৈরী পদ্ধতি
    নিমাস্ত্র কিভাবে তৈরি করে ? ব্রম্মাস্ত্র কিটনাশক কিভাবে তৈরি করে ?
    বিজামৃত তৈরী ও ব্যবহার পদ্ধতি 

    পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ধানের রোগপোকা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0মন্তব্যসমূহ

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)