G9 Banana জি নাইন কি। জি নাইন কলা চাষ পদ্ধতি। টিস্যু কালচার জি 9 কলা চাষের পরিচর্যা। জি ৯ কলা চাষে লাভ -

Didibhai Agrofarm
0
G9 Banana জি নাইন কি।  জি নাইন কলা চাষ পদ্ধতি। জি 9  কলা চাষের পরিচর্যা। জি ৯ কলা চাষে লাভ

কলা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রধান ফল এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল, মূল্যের দিক থেকে সাইট্রাসের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কম দাম এবং উচ্চ পুষ্টিগুণের কারণে কলা  আমের পরে ভারতে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ফল ফসল।কলাতে  কার্বোহাইড্রেটে থাকে প্রচুর  এবং এটি ভিটামিন যুক্ত ফল বিশেষ  করে ভিটামিন বি সমৃদ্ধ। এছাড়াও কলাতে  ক্যালসিয়াম ,ম্যাগনেসিয়াম পটাসিয়াম, ফসফরাস, প্রচুর পরিমানে থাকে । কলা  হজম করা খুবই সহজ এবং এটি  চর্বি ও কোলেস্টেরল মুক্ত। এই কলা কে  গুঁড়ো করেই প্রথম শিশুর খাদ্য তৈরী করা  হয়েছিল। 

    ১।কলাচাষ পটভূমি-

    কলা প্রায় 120 টি দেশে জন্মে। কলা এশিয়ার  আর্দ্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলেউদ্ভাবিত  হয়েছিল যার উৎপত্তির কেন্দ্র হিসেবে ভারত ।   আধুনিক ভোজ্য জাত দুটি প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়েছে - মুসা আকুমিনাটা এবং মুসা বালবিসিয়ানা এবং তাদের প্রাকৃতিক হাইব্রিড, মূলত এশিয়ার  এর রেইন ফরেস্টে পাওয়া যায়। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে এর চাষ মিশর ও আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে পৃথিবীর উষ্ণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চল জুড়ে কলার চাষ করা হচ্ছে । পরবর্তীতে ইজরায়েল টিস্যু কালচার জি নাইন কলার উদ্ভাবন করে। ভালো উৎপাদন গুণবত্তার কাৰণে বিশ্বে কলা চাষের উপর আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বাণিজ্যিক ভাবে জি নাইন কলার চাষ ও রপ্তানি বাড়ছে এবং  বিশ্বের দ্বিতীয় ও  এশিয়ার বৃহত্তম  কৃষি উৎপাদন বাজার, আজাদপুর, নয়াদিল্লি একটি প্রধান বাজার কমপ্লেক্স এখানে এই কলার আমদানি ধীরে ধীরে বাড়ছে এছাড়াও  মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে এই কলার চাহিদা তৈরী হচ্ছে। 

    কলা মূলত একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফসল, ৭৫-৮৫% আপেক্ষিক আর্দ্রতার সাথে ১৫ºC - ৩৫ºC তাপমাত্রায় ভাল জন্মে। এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় আর্দ্র নিম্নভূমি পছন্দ করে । দোআঁশ মাটি কলা চাষের জন্য সঠিক বলে বিবেচিত হয় । প্রচুর বৃষ্টিপাত অঞ্চলে উঁচু জায়গা বা জল দাঁড়ায় না এমন জায়গা কলা চাষের জন্যে উপযুক্ত। তাপমাত্রা খুব কম বা খুব বেশি হওয়া ছাড়া বাজারের চাহিদা অনুযায়ী টিস্যু কালচার কলার আবাদ সারা বছরই করা যায়। এই কারণে জি নাইন কলা চাষ সহজ এবং উৎপাদন বেশি পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি উৎপাদন কৃত জাত শ্রীমন্তি প্রতি হেক্টরে ৭০ টন হয় এবং এর পরেই রয়েছে জি নাইন কলা এটি প্রতি হেক্টরে ৬৫  টন উৎপাদন হয়। 

    ভারতে কলা উৎপাদনে প্রথম ফল উৎপাদনের  ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।  এটি মোট  ফল চাষ এলাকার 13% ভূমিতে চাষ হয় এবং ফল উৎপাদনের ক্ষেত্রে 33% উৎপাদিত হয় । সবচেয়ে বেশি কলা উৎপাদন  মহারাষ্ট্রে হয়। এই কলা চাষকৃত এলাকা গুলিতে জি  নাইন কলার চাষ বাড়ছে। বাংলাদেশেও এই কলার চাষ প্রসারতা লাভ করছে। 

    কলা ভারতের  সর্বোত্রই চাষ হয় কম বেশি চাষ হয় এবং বাণিজ্যিক ভাবে পশ্চিম বঙ্গেও চাষ হছে। পশ্চিমবঙ্গে হুগলি, নদীয়া, উত্তর 24 পরগণা, মুর্শিদাবাদে বেশি কলা চাষ হয় এখন এই অঞ্চল গুলিতে জি নাইন কলার চাষ বাড়ছে। কলকাতার বাজারে জি নাইন কলার চাহিদা লক্ষ্যণীয়। 

    বাংলাদেশেও এই কলার প্রসারতা লাভ করতে দেখা যাচ্ছে।  রাজশাহীতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে টিস্যু কালচার জি নাইন  জাতের কলা।    

    ২।জি নাইন কি ?

    গ্র্যান্ড নাইন কে এক কোথায় জি নাইন বলা হয়। ইজরায়েল থেকে আমদানি করা একটি টিসু কালচার কলার জাত জি নাইন ।  ধীরে ধীরে জি নাইন কলা  জনপ্রিয়তা অর্জন করছে এবং শীঘ্রই সবচেয়ে পছন্দের জাত হয়ে উঠতে পারে এটির অ্যাবায়োটিক চাপ সহনশীলতা এবং ভাল মানের গুচ্ছের কারণে। সব গাছে একসাথে ফল আসে ৮ মাসে ফল আসে এবং ১১ মাসে পরিপক্ক হয়। কলার গঠন ভালো এবং রং ভালো অন্যান্য জাতগুলির তুলনায় ভাল বালুচর জীবন রোগের প্রকোপ কম এবং গুণমান সহ আকর্ষণীয় হলুদ রঙ এর হয়। 

    বর্ধমান জেলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের হর্টিকালচার বিভাগের বিজ্ঞানী ড. সুব্রত সরকার বলেন পশ্চিমবঙ্গে চম্পা, মর্টম্যান, ডোয়ার্ফ ক্যাভেন্ডিশ, জায়ান্ট গভর্নর, কাঁথালি, সিঙ্গাপুরি বাগদা কলার চাষ প্রভুর পরিমানে নাদিয়া ,হুগলি ,মুর্শিদাবাদ ,উত্তর ২৪ পরগনার হয় এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা তে হয় কিন্তু বর্তমানে জি নাইন কলার বাণিজ্যিক প্রসার বাড়ছে। টিস্যু কালচার করে জি নাইন কলার চারা সরকারি ভাবে প্রদান করা হচ্ছে গ্রামাঞ্চলে চাষে উৎসাহ দেওয়ার জন্যে। এই কলা এক বিঘাতে ৪০০ চারা এবং আঁকড়ে ১২০০ চারা লাগে। গাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং ২ বছরে ৩ বার কলা উৎপাদন করা যায়। প্রতিটি কাঁদিতে ১৩ থেকে ১৫ টি ছড়ি পাওয়া যায় এবং একটি ছড়িতে ১৩ থেকে ১৬ টি কলা পাওয়া যায় ভালো ব্যবস্থানপনা থাকলে।   একটু লম্বা প্রজাতির হয়ে থাকে ,পুষ্টি বেশি ও বাজারে এর চাহিদা তৈরী হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিসংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, বাহরাইন, কাতারে  আন্তর্জাতিকভাবে জি নাইন কলার চাহিদা তৈরী হচ্ছে।  

    বাংলাদেশেও টিস্যু কালচার জি নাইন কলার চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশ  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ উদ্যান বিভাগ অধিদপ্তরের  দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক উত্তম কুমার কবিরাজ একটি সাক্ষাৎকারে  বলেন, জি নাইন কলার এই  জাতটি দেশে একদমই নতুন। বাইরের দেশ থেকে চারা এনে এখানে অনেকেই চাষ করা শুরু করছেন এবং ফোলা ফল ভালো। আমাদের বাংলাদেশে মাদারীপুর উদ্যানপালন গবেষণা কেন্দ্রে সরকারি ভাবে টিস্যু কালচার কলার চারা উৎপাদন হচ্ছে। এক একটি কাঁদিতে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি ওজনের কলা উৎপাদন হয় এবং খাটো জাতের হাওয়ায় ঝরে এর ক্ষতি কম হয়। রাজ্শাহি জেলায়  এই কলার চাষ অনেক কৃষক করছেন। আগামীতে এই বাংলাদেশে এই কলা চাষের চাহিদা বাড়ছে এবং বিপুল পরিমানে চাষ করতে হলে টিস্যু কালচার ব্যস্থাপনা উন্নত করতে হবে।

    ৩। টিস্যু কালচার কলা কি ?

    গবেষণাগারে সম্পূর্ণ কৃত্রিম পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়ায় কালচার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ গুলি অটোক্লেভ মেশিনে দিয়ে জীবাণু মুক্ত করে মাতৃ কলা গাছ গুলি ভালো করে ধুয়ে এক বা একাধিক কোষ অথবা গাছের একটি নির্দিষ্ট অংশ বের করে নিয়ে জল,সাবান,এন্টিসেপ্টিক দ্রবণে ধুয়ে পুনরায় হাইপোক্লোরাইড ফোলে জীবাণুমুক্ত করে নিয়ে কাঁচের পাত্রে আরো কিছু পদ্ধতি সংযোজন করে যে চারা তৈরী হয় তাকে  টিস্যু কালচার কলা চারা বলে।

    ৪। টিস্যু কালচার চারা রোপনে লাভ - 

    টিস্যু কালচার চারা রোপনে লাভ হল যে চারা গুলি রোগপোকা, ভাইরাস মুক্ত এবং একই বয়স ও একই সাইজের তাজা চারা পাওয়া যায়। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে ,গাছে ফল আসে একই সময়ে সব গাছে ফুল ফল আসে এবং ফলন তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় ও নিশ্চিত একই প্রজাতির মায়ের গুনাগুন পূর্ণ চারা গুলি পাওয়া যায়। সমস্ত গাছে এক সাথে ফল আসলে দূরে বাজারে  বিক্রি সহজ হয় এবং চাষ জমি একবারে ফাঁকা হয় ও তাড়াতাড়ি পরবর্তী ফসল রোপনে সুবিধে হয়। 

    ৫। টিস্যু কালচার কলা চারা ক্রয়ে সচেতনতা -

    • চারা গুলি ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা রোগ এর লক্ষণগুলি থাকবে না। 
    • চারাগুলি ভাইরাস দ্বারা রোগ মুক্ত এবং সুস্থসবল ও সতেজ থাকবে। 
    • ২ মাস পর্যন্ত হার্ডেনিং করা চারাগুলির উচ্চতা সাধারণত ১ ফুট উচ্চতা এবং গোড়া ২ ইঞ্চি মোটা হবে। 
    •  টিস্যু কালচার কৃত চারা জি নাইন বা গ্রান্ড নাইন কলার চারা উৎপাদন ও রপ্তানির জন্যে ভালো বলে গবেষকরা দাবি করেন তাই বর্তমানে এই কলা চাষ লাভজনক । 

    .৬। জি নাইন কলা চাষ পদ্ধতি -(G9 Banana Farming Method ) 

    টিস্যু কালচার জি নাইন কলা চারা বিদেশ থেকে আমদানি করা জাত হলেও অন্যান্য কলা ছাড়ার মতোই সহনশীল পরিবেশে ভালো বেড়ে উঠতে পারে।  এটি একটি টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে তৈরী চারা এর চাষ পদ্ধতি একটু আলাদা হলেও এটি কলা চাষের আধুনিক পদ্ধতি। জি নাইন কলা চাষের উপযুক্ত পরিবেশ মাটি প্রস্তুতি সার ব্যবস্থাপনা ,রোগ ,পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ সহ সেচ পদ্ধতি কিভাবে করতে হবে সে বিষয়ে কলা চাষের আধুনিক পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হল -

    ক.  জি নাইন কলা চাষের  উপযুক্ত পরিবেশ -

    কলা চাষ মূলত সারা বছর করা গেলেও এই কলা চাষে জল প্রচুর লাগে তাই বর্ষায় জুন ,জুলাই ,আগস্ট মাসে এই কলা চাষ শুরু করল ভালো। উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে জল দাঁড়ায় না যেন। কলাগা

    ছের প্রচুর জলের যেমন প্রয়োজন তেমনি গোড়ায় জল দাঁড়িয়ে থাকলে চাষের জন্যে ক্ষতিকারক দিক হিসেবে বিবেচিত হয়। কলা চাষের জন্যে ৬.৫ থেকে ৭.৫   pH সহ  দোআঁশ মাটি  কলা চাষের জন্যে উপুযুক্ত । কলার মাটিতে ভালো নিষ্কাশন, পর্যাপ্ত উর্বরতা এবং আর্দ্রতা থাকতে হবে। লবণাক্ত শক্ত, চুনযুক্ত মাটি কলা চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। যে মাটি খুব বেশি অম্লীয় বা ক্ষারীয়ও নয়, উচ্চ নাইট্রোজেন উপাদান, পর্যাপ্ত ফসফরাস স্তর এবং প্রচুর পটাশযুক্ত জৈব উপাদানে সমৃদ্ধ তা কলার জন্য ভাল।গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফসল, ৭৫ থেকে ৮৫%  আপেক্ষিক আর্দ্রতার সাথে ১৫ºC - ৩৫ºC তাপমাত্রায় ভাল জন্মে।বর্ষার চার মাস (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) গড় ৬৫০-৭৫০ মিমি। কলার সবল উদ্ভিদ বৃদ্ধির জন্য বৃষ্টিপাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

    খ. জি নাইন কলার চারা কোথায় পাওয়া যায় -

    টিস্যু কালচার জি নাইন কলার চারা বিভিন্ন নার্সারিতে পাওয়া যায় যারা টিস্যু কালচার ল্যাবের সাথে যুক্ত আছেন ।  যেমন পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত ,দূর্গাপুর এ আছে এগুলি জায়গায় জি নাইন কলা চারা ছাড়াও অন্যান্য টিস্যু কালচার কলার চারা গুলি পাওয়া যায় ।  প্রতিটি চারার দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম নিচ্ছে। এছাড়াও সরকরি ভাবে হর্টিকালচারের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে টিস্যু কালচার কলা চারা প্রদান করে থাকে।

    বাংলাদেশে মাদারীপুর উদ্যানপালন গবেষণা কেন্দ্রে সরকারি ভাবে টিস্যু কালচার কলার চারা উৎপাদন করে বিক্রি হচ্ছে কম মূল্যে এবং রাজশাহীর কিছু জায়গায় জি নাইন কলার মুখী কলার  চারা বিক্রি হচ্ছে।  

    টিসু কালচার চারা

    গ. কিভাবে  জি নাইন কলা চাষের জমি প্রস্তুত করতে হয় ? -

    কলা রোপণের আগে সবুজ সার জাতীয় ফসল যেমন ডাইঞ্চা, গোয়ালে ইত্যাদি চাষ করা যেতে পারে। জমি ২-৪ বার চষে সমতল করা যায়। রেটোভেটর দিয়ে  ভেঙ্গে মাটিকে সূক্ষ্ম করতে  হয়।রোপণের আগে গ্লাইফোসেট স্প্রে করা হয় @ 2 লিটার/হেক্টর আগাছামুক্ত রাখার জন্য। বিঘা প্রতি ৪০০ এবং একর প্রতি ১২০০ চারার প্রয়োজন অনুসারে ৬ ফুট/৬ ফুট দূরত্ব মেপে চারা বসানোর জন্যে গর্ত করতে হবে। গর্তে 10 কেজি কপোস্ট সার বা পুরোনো গোবর সার দিতে হয় অথবা ৩ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট দিতে হয়। ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি ৫ গ্রাম  250 গ্রাম নিম কেক এবং 10 গ্রাম কার্বোফুরান মিশিয়ে উপরের মাটি দিয়ে গর্তগুলি পুনরায় পূরণ করতে হবে।  প্রস্তুত করা গর্তগুলি 15-20 দিনের জন্য খোলা রাখা হয় সৌর বিকিরণের জন্য যাতে সমস্ত পোকামাকড়, মাটিবাহিত রোগ এবং রিফিলিং করার আগে বায়ুচলাচলের জন্য মারা যায়। লবণাক্ত ক্ষারযুক্ত মাটিতে যেখানে পিএইচ 8-এর উপরে, সেখানে জৈব পদার্থ এবং জিপসামকে অন্তর্ভুক্ত করে পিট মিশ্রণটি পরিবর্তন করতে হবে। লাগানোর পূর্বে রাসায়নিক সার ইউরিয়া ৫০ গ্রাম ,পটাশ ৫০ গ্রাম এবং ফসফেট ১০০ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে 

    ঘ. জি নাইন রোপন পদ্ধতি -

    টিস্যু কালচার লাগানোর পূর্বে লাগানোর পূর্বে রাসায়নিক সার ইউরিয়া ৫০ গ্রাম ,পটাশ ৫০ গ্রাম এবং ফসফেট ১০০ গ্রাম ব্যবহার করতে হয় । রোপণের আগে 0.5% মনোক্রোটোফস এবং ব্যাভিস্টিন (0.1%) এর দ্রবণে ডুবিয়ে রাখা হয়। সার মাটি ভালো করে মিশ্রণ করে চারা বসিয়ে দিতে হবে এবং সেচ দিয়ে একবার জমি ভিজিয়ে দেওয়া হয়। ।

    .। জি নাইন কলা চাষের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয় ? -

    চারা রোপনের পর আন্তঃফসল না লাগানোই ভালো এতে শেকড় ক্ষতি গ্রস্ত হতে পারে। কলা চাষে প্রচুর পুষ্টির প্রয়োজন হয় এর জন্যে সময় মতো সার প্রয়োগ । এবং কয়েকটি বোরো ধরণের রোগের জন্যে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

    ক. জি নাইন কলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা -

    জি নাইন কলা চাষ করলে ৩ টি সঠিক সময়ে গাছের গোড়ায় সার প্রয়োগ করা উচিত -

    চারা রোপনের দুই মাস পরে গাছের গোড়ার ১ ফুট দুরুত্বে চারিদিকে ১০ থেকে ১২ কেজি পুরোনো গোবর সার বা ভার্মি কম্পোস্ট ৩ কেজি দেওয়া হয় এবং সাথে ইউরিয়া ৩০ গ্রাম ,ফসফেট ১০০ গ্রাম এবং পটাশ ৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়। 

    গাছের বয়স - 3 মাস হলে গাছের গোড়ার  চারিদিকে ১০ থেকে ১২ কেজি পুরোনো গোবর সার বা ভার্মি কম্পোস্ট ৩ কেজি দেওয়া হয় এবং সাথে ইউরিয়া ৩০ গ্রাম ,ফসফেট ১০০ গ্রাম এবং পটাশ ৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়। 

    গাছের বয়স ৪ মাস হলে গাছের গোড়ার  চারিদিকে ১০ থেকে ১২ কেজি পুরোনো গোবর সার বা ভার্মি কম্পোস্ট ৩ কেজি দেওয়া হয় এবং সাথে ইউরিয়া ৩০ গ্রাম , এবং পটাশ ৬০  গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়।

    খ.  জি নাইন কলা চাষে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস প্রয়োগ 

    কলা গাছের ৩ মাস ৫ মাস বয়সে   ZnSo 4 (0.5%), FeSo 4 (0.2%), CuSo 4 (0.2%) এবং H 3 Bo 3 (0.1%) এর সম্মিলিত ফলিয়ার প্রয়োগ করলে কলার  ফলন এবং গুণমান বাড়াতে সাহায্য করে।  

    গ. কিভাবে জি নাইন কলা গাছের পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ  করতে হয়? -

    পোকামাকড়ের বেশিরভাগই পরিলক্ষিত হয় রুট স্টক/রাইজোম উইভিল ( কসমোপলিটিস সোর্ডিডাস ), স্টেম বোরর ( ওডিওপোরাস লংজিকোলিস ), থ্রিপস , ব্যানানা বিটল ( নোডোস্টোমা সাবকোস্ট্যাটাম ), কলা এফিড ( পেন্টালোনিয়া নিগ্রোনারভোসা ) এবং নেমাটোড। পোকামাকড়ের উপদ্রবের ধরন অনুসারে ০.০৪% এন্ডোসালফান, ০.১% কার্বারিল বা ০.০৫% মনোক্রোটোফস প্রয়োগের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর রোপণ উপাদান নির্বাচন এবং উপযুক্ত আন্তঃসাংস্কৃতিক অপারেশনগুলি কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

     ঘ.কিভাবে জি নাইন কলা গাছের  রোগ নিয়ন্ত্রণ  করা যায় ?-

    এলাকায় পানামা উইল্ট ( ফুসারিয়াম অক্সিস্পোরাম)  রোগের দেখা পাওয়া গেলে আগে থেকেই গাছ ছোটতে কার্বোন্ডাজিম ১ গ্রাম প্রতিলিটার জলে গুলিয়ে স্প্রে করতে হবে বা স্ট্রেপটোসাইক্লিন প্রতি লিটার জলে ১ গ্রাম জলে গুলিয়ে স্প্রিয় করতে হবে এটি একটি গাছের প্রধান ভাইরাল রোগ। 

    সিগাটোগা (মাইকোসফারেলা মিউজোলা এবং সেরকোস্পোরা মুসে) রোগ ,পাতায় দাগ হয়ে শুকিয়ে যেতে থাকে এটি একটি ভাইরাল রোগ - এটির জন্যে প্রপিকোনাজোল বা টেবুকোনাজোল  ২ এম এল প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। 

    কলার ত্বক কে   বিবর্ণ দাগ থেকে রক্ষা করার জন্যে  কলার সব ছড়ি  বের হওয়ার পর মনোক্রোটোফস (০.২%)  স্প্রে করলে   থ্রিপস আক্রমণ  নিয়ন্ত্রণ করে  এবং  এটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে।

    ঙ. জি নাইন কলা বাগানে সেচ  পদ্ধতি-      

    কলা গাছ প্রচুর জল চায় তাই গাছের গোড়া স্যাতে স্যাতে রাখার জন্যে ৭ দিন অন্তর জল প্রয়োগ করতে হতে পারে এবং যদি বৃষ্টি না থাকে ১৫ দিন তবে জল দেওয়া উচিত হবে বর্ষাকালে। ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেমে জল দিলে কম জল ব্যবহার করে এবং খাদ্য কম ব্যবহার করা যায় ফলিয়ার খাদ্য জলের মাধ্যমে প্রয়োগ করলে।  এছাড়াও  কলার বাগানে মালচ উপাদান হিসেবে গমের খড় ,ধানের খড় ব্যবহার করা হয় এতে   গুচ্ছের ওজন বৃদ্ধি এবং মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণে উপকারী। গ্রীষ্মের শুরুতে (ফেব্রুয়ারি) মাল্চ প্রয়োগ করা হয়। 

    আরও দেখুন-pearl millet farming বাজরা চাষ পদ্ধতি। বাজরা চাষে অধিক লাভের সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে।

    চ. কলা  চারা অপসারণ পদ্ধতি 

     মূল উদ্ভিদের সাথে অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা কমানোর জন্য কলার অবাঞ্ছিত চুষক অপসারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ৬-৭  মাস পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ছোট চোষাগুলি সরানো হয়। এর ফলে গাছের ফলন ভালো হয় এবং নতুন যে চোষক চারা থাকে কলা কাটার ৪ মাস পরে আবার ফল দেয় এই জি ৯ কলার গাছ। 

    ছ. জি নাইন কলা বাগানের অন্যান্য পরিচর্যা  -

    •  শীতের মাসগুলিতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে গেলে গাছের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাতে সেচ দিতে হয় বা আগুন জ্বালানোর মাধ্যমে ধূমপান করতে হয় এতে গাছের বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিকার শক্তি হয়।         
    •    শীতের মাসগুলিতে প্রতি গাছের গোড়ায়  নিম ১ কেজি  প্রয়োগ করা হয় ৩ থেকে ৪ বাড়ে এতে কলার কাদি বা গুচ্ছ   গঠন সহজ হয়।
    •  কলা বাগানের  সীমানা বরাবর লম্বা গাছপালা বৃদ্ধি করে প্রবল বাতাস থেকে গাছকে রক্ষা জেট পারে ।
    • কলা গাছকে সমর্থন দেওয়ার জন্য বাঁশের খুঁটি বা ইউক্যালিপটাস খুঁটি ব্যবহার করা হয় যদিও এটি বায় বহুল তাই চারিদিক দিয়ে প্রত্যেকটি গাছের সাথে সম্পর্ক রেখে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিতে হয়।  এর ফলে কলার ভার বা বাতাসে গাছ পরে যাওয়ার ভয় কম থাকে। 
    • গাছের শুকনো পাতা ব্যবহার করে গুচ্ছ বা কলার  কাদি  ঢেকে রাখা লাভজনক এবং গুচ্ছকে সরাসরি সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসতে বাধা দেয় এবং ফলের গুণমানও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বর্ষাকালে এই অভ্যাস এড়িয়ে চলা উচিত। ধুলো, স্প্রে অবশিষ্টাংশ, পোকামাকড় এবং পাখি থেকে ফল রক্ষা করার জন্য গুচ্ছের স্লিভিং করা হয়। স্বচ্ছ এবং ছিদ্রযুক্ত পলিথিন শীট 2% (ঠান্ডা মৌসুমে) - 4% (গ্রীষ্মের সময়) বায়ুচলাচল গুচ্ছগুলিকে ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। 

    ৮। জি নাইন কলা সংগ্রহ এবং স্ট্রোরেজ -

    •  বাজারের পছন্দের উপর নির্ভর করে ফল সামান্য বা সম্পূর্ণ পরিপক্ক হলে কলা কাটা হয়। দীর্ঘ দূরত্বের পরিবহনের জন্য, ৭৫-৮০% পরিপক্কতায় ফসল কাটা হয়।  ফলটি ক্লাইম্যাক্টেরিক এবং পাকা অপারেশনের পর সেবন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।
    • জি নাইন কলা রোপনের ১১ থেকে ১২ মাসে সংগ্র করা যায়। প্রধান ফসল কাটার ৬ থেকে ৭ মাস  মাসের মধ্যে এবংন দ্বিতীয় ফসলের৬-৭  মাস পরে প্রস্তুত হবে। এভাবে ২৪-২৫  মাসের মধ্যে তিনটি ফসল অর্থাৎ একটি প্রধান ফসল এবং দুটি রেটুন ফসল কাটা সম্ভব। কলার ফলন বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে যেমন জাত, উদ্ভিদের ঘনত্ব,খাদ্য ব্যবস্থাপনা   ইত্যাদি।
    • কলা সংগ্রহের পর  মূলত ফলের আকার, রঙ এবং পরিপক্কতার উপর ভিত্তি করে গ্রেডিং করা হয়। গ্রেডিংয়ের সময়, সমান পাকাতে ছোট ফলগুলিকে বড়গুলি থেকে আলাদা করা হয়। অপরিপক্ব, অত্যধিক পাকা, ক্ষতিগ্রস্থ ও রোগাক্রান্ত ফল গ্রেডিং প্রক্রিয়ায় ফেলে দেওয়া হয়।
    • কলা সাধারণত ঋতুর প্রথম দিকে কাটা হয় প্রাক-ম্যাচিউর পর্যায়ে বাজার ধরার জন্য। ফলের গুণমান এবং স্বাদ নষ্ট না করে দ্রুত পাকা করার সর্বোত্তম পদ্ধতি হল ইথিলিন প্রয়োগ। পরিপক্ক ফলগুলোকে কম মাত্রায় ইথ্রেল দিয়ে পাকানো হয় যাতে রং সমান হয় (নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় ১৫-১৮  সেন্টিগ্রেডে ধীরে ধীরে পাকে)।
    • পরিপক্ক সবুজ কলা ইথিলিন মুক্ত বাতাসে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত বা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় ।.

    ৯। জি নাইন কলা প্যাকিং এবং মার্কেটিং -

    উচ্চমানের কলা সাধারণত রপ্তানি হয় কিন্তু গুণগত ভাবে প্যাকিং না করলে নষ্ট হয়ে যায় । জি নাইন কলার চাহিদা বাড়ছে এবং এটি একটি উচ্চমানের কলা তাই প্রথমত, গুচ্ছ থেকে কলাগুলিকে  সরিয়ে জলে ধুয়ে ফেলা হয়। তারপর লেটেক্স অপসারণের জন্য পাতলা সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড দ্রবণে ধুয়ে 0.1% কার্বেন্ডাজাইম দ্রবণে ডুবিয়ে অবশেষে বাতাসে শুকানো হয়। এর পর কলাগুলিকে তাদের দৈর্ঘ্য এবং ঘেরের ভিত্তিতে গ্রেড করা হয় এবং প্রায় ১৩  থেকে ১৪.৫  কেজি ক্ষমতা সম্পন্ন প্লাস্টিকের ঢেউতোলা ফাইবার বোর্ড (CFB) কার্টনে প্যাক করা হয়।   একটি উপযুক্ত প্যাকিং উপাদান যেমন ফেনা ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। কোল্ড স্টোরেজ সহ এই বাক্সগুলি ১৩-১৫ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এবং ৮০ -৯০% আর্দ্রতায় রাখা হয়। কলা এই ধরনের নিয়ন্ত্রিত বায়ুমণ্ডলে ২০-২৫ দিনের জন্য শীতল চেম্বারে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। দেশে ১৩  ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কোল্ড চেইন এবং রেফ্রিজারেটেড ভ্যানের মাধ্যমে কলা রপ্তানি করা হয়  ।

    ১০। জি নাইন কলা চাষে লাভ -

    টিস্যু কালচার জি নাইন কলা যদি তিনটে ফলন নেওয়া যায় তবে এক একরে ১২০০ গাছ ধরলে ৩ বার ফলন তুললে ১২০০ X ৩ = ৩৬০০  কাদি পাওয়া যাবে দুই বছরে। ভালো পরিচর্যা হলে কলার সাইজ ভালো হলে এক একটি কাদি মূল্য ৩০০ টাকার অধিক দামে বিক্রয় হয় ।৩৬০০ কাদি তে দাম পাওয়া যাবে ৩৬০০ X ৩০০ =  ১০৮০০০০ টাকা বিক্রয় হয় এক একর জমিতে এবং এক বিঘাতে ৩৬০০০০ টাকা।  বছরে এক একর জমি থেকে ৫৪০০০০ টাকা এবং এক বিঘা জমি থেকে ১৮০০০০ টাকা পাওয়া যাবে। 

    কলা চাষে প্রথম ফলনে খরচ বেশি হয় পরবর্তীতে কম হয়।  সেই হিসেবে অনুযায়ী ২ বছরে খরচ হয় ১৪০০০০ টাকা এক একর জমিতে।  এক একর জমিতে দু বছরে লাভ হতে পারে -১০৮০০০০ - ১৪০০০০= ৯৪০০০০ টাকা।  এক একর জমিতে বছরে আনুমানিক লাভ ৪৭০০০০ এবং এক বিঘাতে ১৫০০০০ টাকার কিছু কম বা বেশি লাভ হবে। 

    ১১। FAQ (প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন)  -

    ১। জৈব পদ্ধতিতে কলা চাষ ভালো হবে কি  ?

    উত্তর -হ্যা জৈব পদ্ধতিতে কলা চাষ হবে।  জৈব চাষের জন্যে শুধু গোবর সার ব্যবহার না করে  তার পরিবর্তে ভার্মি কম্পোস্ট ,জীবান্মৃত ব্যবহার করতে হবে এবং রোগ পোকার জন্যে জৈব দ্রবণ ও কীটবিতারক ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত। 

    ২।  জি নাইন কলার জন্যে কি সরকারি সহায়তা পাওয়া যায় ?

    উত্তর -হ্যা পাওয়া যাবে।  এর জন্যে কলাচাষের প্রকল্প রিপোর্ট তৈরী করতে হবে। এছাড়াও ড্রিপ ইরিগেশন সেচের জন্যে ব্যবহার করতে চাইলে সরকরি ভাবে পাওয়া যাবে। 

    ৩।  টিস্যু কালচার জি নাইন কলার চারার জন্যে কোথায় যোগাযোগ করতে হবে ?

    উত্তর -  টিস্যু কালচারচারার জন্যে জেলা উদ্যানপালন বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে। উদ্যান পালন বিভাগ জি নাইন কলা চাষে উৎসাহ প্রদান করছে। 

    12।তথ্য সুত্র 

     ১।  উদ্যানপালন বিভাগ (ICAR)  পশ্চিমবঙ্গ

    ২।  উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, PO কাহিকুচি, গুয়াহাটি-781017, 

     ৩। আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র, মহাত্মা ফুলে কৃষি বিদ্যাপীঠ, নিমখেদা রোড, জলগাঁও, মহারাষ্ট্র 

    ৪।টিস্যু কালচার অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল সার্ভিসেস, জৈন ইরিগেশন সিস্টেমস Ltc.,  জলগাঁও-, মহারাষ্ট্র, 

    ৫।মহাবেনানা কৃষি উৎপন্না বাজার সমিতি, জলগাঁও-425003, মহারাষ্ট্র

    ৬।ন্যাশনাল সেন্টার ফর রিসার্চ অন কলা (ICAR),  তামিলনাড়ু, 


    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0মন্তব্যসমূহ

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)