উচ্চ ফলনশীল তিনটি রোগ প্রতিরোধী জাত আরকা রক্ষক হাইব্রিড F1 টমেটো চাষ পদ্ধতি -

Didibhai Agrofarm
0
উচ্চ ফলনশীল তিনটি রোগ প্রতিরোধী জাত  আরকা রক্ষক  হাইব্রিড  F1  টমেটো চাষ পদ্ধতি -


টমেটো হলো উৎপাদিত সবজি গুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। টমেটোতে ভিটামিন এ বি সি  থাকে। টমেটো মানুষের শরীরে ইমিউনিটি বাড়ায় ৪ টি টমেটো ২ শতাংশ ইমিউনিটি বাড়ায় যা অন্য সবজিতে পাওয়া যায় না। কম সময়ে টমেটো একটি লাভ করি অর্থনৈতিক ফসল যদি সঠিক ভাবে সঠিক জাত নির্বাচন ও পরিচর্য্যা করা যায়। টমেটো উৎপাদিত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকে গড় উত্পাদনশীলতা সবচেয়ে বেশি (35 টন/হেক্টর) বেশিরভাগ কারণে অনুকূল পরিবেশগত অবস্থা এবং উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড গ্রহণের জন্। বিভিন্ন রোগ ব্যাধির কারণে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যাচ্ছিলোনা তার মধ্যে কয়েকটি প্রধান কারণ হল টমেটোর লিফ কার্ল ভাইরাস (ToLCV), ব্যাকটেরিয়াল উইল্ট (BW) এবং আর্লি ব্লাইট (EB) এর মতো রোগগুলি।  এগুলি ঠিক মতো নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ফসলের ৭০-১০০% নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

    1.টমেটোর পরিচিতি -

    ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হর্টিকালচারাল রিসার্চ,(IIHR ) ব্যাঙ্গালোরের ডাঃ এ টি সদাশিবের নেতৃত্বে টমেটো ব্রিডার ভারতে প্রথমবারের মতো ট্রিপল রোগ প্রতিরোধী টমেটো "আরকা রক্ষক" হাইব্রিড এফ১ তৈরি করেছ।এটি আয়তাকৃতির হয় এবং রং গারো লাল ও চামড়া মোটা হয়। প্রতির টমেটোর ওজন ৭৫-১০০ গ্রাম হ।  গাছের উচ্চতা ৪ ফুট এর অধিক হয় । উৎপাদন এর পর ১৮ দিন পর্যন্ত এর স্থিতিশীলতা বজায় থাকে ফলে পরিবহনে সুবিধে হয়। এই প্রজাতির টমেটোতে  লিফ কার্ল ভাইরাস (ToLCV), ব্যাকটেরিয়াল উইল্ট (BW) এবং আর্লি ব্লাইট (EB) এর মতো রোগগুলি প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে এবং উৎপাদন শীলতা বাড়িয়েছে। ভারতের প্রথম ট্রিপল রোগ প্রতিরোধী টমেটো F1 হাইব্রিড "আরকা রক্ষক” কৃষকদের মুখে হাসি ফিরিয়ে এনেছে । এটি ১৫০ দিনে ফসল তোলা সম্পূর্ণ হয়। 

    2.উৎপাদন -

    ডাঃ এ টি সদাশিব দাবি করেছেন এই টমেটো চাষ করলে একর পিছু ৪০০  থেকে ৫০০ কুইন্টাল উৎপাদন হয়। গাছ পিছু হিসেবে করলে ১৯ কেজি  উৎপাদন হবে সঠিক ভাবে যদি পরিচর্যা করা যায় সঠিক মাত্রায়  সার ও ঔষধ এর প্রয়োগ করে।ইনস্টিটিউটের NICRA প্রকল্পের অধীনে 2012 সালের গ্রীষ্মে একটি মাঠ দিবস সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছিল এবং 150 জনেরও বেশি কৃষক অংশগ্রহণ করেছিল। সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে   ২০১২ সালে কর্ণাটকের মিস্টার চন্দ্রাপ্পা ২০০০ টি গাছ লাগিয়েছিলেন গ্রীষ্মের সময় এবং সেখান থেকে ৩৮ টন ফলন পেয়েছিলেন গাছ পিছু ১৯ কেজি ফল উৎপাদন হয়েছিল এবং সেখান থেকে তিনি ২.৫ লক্ষ্য টাকা লাভ করেছিলেন। এর পরের বছর তিনি আরো জমি বাড়িয়ে চাষ করেছিলেন তখন গাছ পিছু 20 কেজি ফলন হয়েছিল এবং ৫ লক্ষ্য টাকা লাভ করেছিলেন। 

    3.মাটি ও সময়   -

    টমেটো চাষের জন্যে উঁচু জল নিকাশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ জমির প্রয়োজন যার পি এইচ মান ৬ থেকে ৭ এর মধ্যে থাকতে  হবে। লাগানোর সময় জুন -জুলাই , অক্টবর -নভেম্বর ,এবং ফেব্রুয়ারী -মার্চ মাস। 

    4.চারার সংখ্যা এবং দূরত্ব -

    এক একর জমির জন্যে সারি থেকে সারির দুরুত্ব ৪.৫ থেকে ৫ ফুট এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ২.৫ ফুট হলে চারার সংখ্যা ৩৫০০ থেকে ৩৯৫০ টি লাগবে। 

    বীজ প্রয়োজন - ১০০০ বীজ এর  ওজন চার গ্রাম অর্থাৎ একরে একটু বেশি ধরে চারা করলে ২০ গ্রাম  বীজ  এর প্রয়োজন। 

    5.চারা তৈরী -

     ভালো চারা উত্পাদন করতে হলে প্রো ট্রে তে কোকোপিট এবং ভার্মি কম্পোস্ট দিয়ে চারা উত্পাদন করতে হবে এবং ২৪ থেকে ২৮ দিনে চারা তৈরী হয়ে যাবে। বীজ থেকে অঙ্কুরিত হওয়ার ৫ দিন পর থেকে ১৯:১৯:১৯ সার ১ লিটার জলে ৩ গ্রাম গুলিয়ে স্প্রে  করতে হবে এবং ছত্রাক আক্রমণের থেকে বাঁচানোর জন্যে ছড়াক নাশক স্প্রে  করতে হবে সেই সাথে চারা রোপনের আগের ২ দিন আগে ছত্রাক নাশকস্প্রে  করতে হবে এবং এক দিন আগে রোদ খাইয়ে নিতে হবে। 

    6.জমি প্রস্তুতি -

    জমিতে ভালো করে ৫ থেকে ৬ চাষ দিয়ে মাটি উর্বর করতে হবে এবং মালচিং ব্যবহার করলে ২ ফুট ফাঁকা দুরুত্ব রেখে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার উঁচু ৩ ফুট চওড়া বেড তৈরী করতে হবে এবং ৫০ মিটার এর বেশি লম্বা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ড্রিপ ইরিগেশন করলে স্পিড সমস্যা হতে পারে। 

    7.বেডে গোবর সার প্রয়োগ 

     পুরোনো ১০কুইন্টাল  গোবরের সাথে ১ কেজি ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি মিশিয়ে ২১ দিন ছায়া জায়গা তে রাখতে হবে সাথে  সুতাকৃমির সমস্যার জন্যে এজেটোব্যাকটোর জীবাণু পি এস বি , পেসিলমাইসিস লীলাসিন্স, পেচেনিয়া ক্লেমাইডিসপেরিয়া   মিশিয়ে  দিতে হবে এর পর হালকা জল স্প্রে করে শুকনো গাছের পাতা বা কিছু দিয়ে শুকোতে হবে।  এর পর ২১ -২৮ দিন এ এই ১০ কুইন্টাল গোবরের সাথে সাধারণ পুরোনো গোবর মিশিয়ে বেড এ দিতে হবে এবং আদ্রতা যেন ৪০% থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ও সাথে ২.৫ কুইন্টাল নিঁম খোল মিশিয়ে দিতে হবে প্রতি এক একর হিসেবে। 

    8.মাটির সাথে রাসায়নিক সার প্রয়োগ - 

    একর প্রতি ৩২ কিলোগ্রাম ইউরিয়া + ১০০ কিলোগ্রাম সিঙ্গেল সুপার ফসফেট +২৫ কিলোগ্রাম  পটাশ বেডে দিয়ে বেড ভালো করে সমান করতে হবে।  

    এরপর ড্রিপ ইরিগেশন সিস্টেম করলে ১৬ মি:মি পাইপ   বিছাতে হবে। এক একরের জন্যে ২৭০০-৩০০০ মিটার পাইপ প্রয়োজন হবে। 

    এর উপর পলিথিন মালচিং দিলে ১.২ মিটার চওড়া ৩০ মাইক্রন মোটা মালচিং  বিছাতে হবে ।  এক একরে ২৭০০-৩০০০ মিটার প্রয়োজন হবে।

    9. চারা রোপন এবং সার প্রয়োগ -

    বেডে মালচিং এর উপরে শীতকালে হলে ৫ সেমী এবং গরমে হলে ৭.৫ সেমী চওড়া ছেদ করে তার মাঝে মাঝি ২৪-২৮ দিনের চারা রোপন করতে হবে। এর পর ড্রিপ ইরিগেশন করলে টো মিনিট দিতে হবে টমেটোর বৃদ্ধি অবস্থায়। 

    প্রতি চার অন্তর ড্রিপ এর মাধ্যমে জলে মিশিয়ে সার প্রয়োগ করতে হবে চারা লাগানোর ২১ দিন দিন পর থেকে ১৪৯ দিন পর্যন্ত।  

    ২১-৩৬ দিন বইপস পর্যন্ত মোট ৬ বার ১৯:১৯:১৯ তরল সার ২ কিলোগ্রাম প্রয়োগ করতে হবে এক একরে। 

    ৩৭-59দিন পর্যন্ত মোট ৭ বার ৩ কিলোগ্রাম  ১৯:১৯:১৯ তরল সার সাথে ১ কিলোগ্রাম পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং ১ কিলোগ্রাম ক্যালসিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। 

    ৬০ -১২৯ দিন পর্যন্ত মোট ২৪ বার ৫  কিলোগ্রাম  ১৯:১৯:১৯ তরল সার সাথে ১.৫  কিলোগ্রাম পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং ২.৫  কিলোগ্রাম ক্যালসিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

    *মোট সার পরিমান লাগবে এক একরে 153  কিলোগ্রাম  ১৯:১৯:১৯ তরল সার, 43  কিলোগ্রাম পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং 67 কিলোগ্রাম ক্যালসিয়াম নাইট্রেট *

    ভিটামিন প্রয়োগ করলে চারা লাগানোর ৪৫ দিন পর ১৫ দিন অন্তর 1 লিটার জলে  ৫ গ্রাম মিশিয়ে ৩ বার স্প্রে করতে হবে। 

    টমেটোর লাগানোর ১ মাস আগে ক্ষেতের চারিদিকে ভুট্টা /জোয়ার /বাজরা ২ থেকে ৩ পাতা হলে লাগানো উচিত হবে এতে ভাইরাস ঘটিত রোগ বাহক কে আটকানো সম্ভব হবে। 

    এই গাছের উচ্চতা ৪ফুট হতে পারে তাই সেগুলিকে উপরে জি আই তার  ঝুলিয়ে সুতো দিয়ে  বাঁধতে হবে গাছের কান্ড গুলিকে এতে হওয়া বাতাস খেলবে এবং গাছের বৃদ্ধি ও ফলন ভালো হবে।  

    বি দ্রঃ যদি পলিথিন মালচিং এবং ড্রিপ ছাড়া চাষ করা হয় সব কিছুর পরিমান একই থাকবে তবে প্লাস্টিক এর পরিবর্তে খোর দিয়ে মালচিং দেওয়া যেতে পারে এবং ড্রিপ এর পরিবর্তে স্প্রে করে সার প্রয়োগ করতে হবে গাছের গোড়ায়   এবং নালা তে জল প্রয়োগ করতে হবে ৪০শতাংস আদ্রতা বজায় রাখার জন্যে।  

    10.কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা

    নিম কেক (8-10 শতাংশ তেল রয়েছে) @ 100 কেজি 30-40 দিন পর 100 কেজি হারে ক্ষেতের 8-10 জায়গায় স্তূপ করে রাখতে হবে যাতে মাইক্রো কীটপতঙ্গ ক্ষেত এবং গাছের কাছাকাছি না আসে। এর প্রভাবের কারণে।

     10.1.ফল ছেদক (হালিকোভা)

    আক্রান্ত ফল ছিন্ন করে বোরসহ সংগ্রহ করে অনেক দূরে ধ্বংস করা হয়।

    এর নিয়ন্ত্রণের জন্য, রোপণের 28.35 2 42 দিন পরে, সন্ধ্যায় 200 লিটার জলে 100 LE/একর হারে HANPV স্প্রে করুন। এই দ্রবণে 1% গুড় এবং 0.5 মি.লি. / নিয়েছে। পাশাপাশি জলের হারে একটি স্প্রেডার যোগ করুন।

    রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণের জন্য Indexocarb 14,5% SC. (1 মিলি/লি) বা থায়োডিকারি। 75% WP (1.0 g/l) বা Emamectin Benzoate 5% S.G. (0.4 গ্রাম/লি) স্প্রে।

    10.2তামাক শুঁয়োপোকা (Spodoptero)

    পতাকায় বসবাসকারী এর ডিম এবং শুঁয়োপোকা সংগ্রহ করে ধ্বংস করুন।

    এর জন্য, ধানের তুষ ব্যবহার করুন: 10:1:0.1 অনুপাতে গাদ ডাইমেথোয়েট বিষাক্ত খাদ্য তৈরি করে এই কীটপতঙ্গ মেরে ফেলুন।

     10.3.সর্প পাতার সুড়ঙ্গ

    চারা রোপণের সময় এই পোকা দ্বারা আক্রান্ত পাতা ছিঁড়ে ফেলে দিতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি এক সপ্তাহের ব্যবধানে 3-4 বার করা উচিত।

    এই কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রকার রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করবেন না, কারণ এটি এই পোকামাকড়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে। এত কিছুর পরেও, যদি স্প্রে করার প্রয়োজন হয়, তাহলে নিম বীজের গুঁড়ো নির্যাস (50 গ্রাম/লিটার) ছিটিয়ে দিন বা বেশি উপদ্রব হলে ট্রাইজোফস 40% ইসি ব্যবহার করুন। (1.5 ml/l) স্প্রে।

    10.4.টমেটো মথ 

    পর্যবেক্ষণের জন্য ফেরোমন লুর স্প্রে করুন এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য নিমের পণ্য Azadirachtin-C (20 ml/L)।

    10.5.হোয়াইটফ্লাই এবং থ্রিপস ভেক্টর

     ইমিডাক্লোপ্রিড 17.8% SL নার্সারিতে রোপণের একদিন আগে। (0.5 ml/L) প্রো ট্রে ভিজিয়ে রাখুন বা রোপণের ঠিক আগে, গাছের শিকড় এই দ্রবণে 5 মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখতে হবে।

     ডাইনোটিফুরন 20% S.G. এই কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়। (0.4 গ্রাম/লি) বা স্পাইরোমাসিফেন 22.9% sc। (0.5 ml/l) বা Fipronil 5% sc. (1.0 ml/L জল) এক সপ্তাহের ব্যবধানে একের পর এক স্প্রে করতে হবে। রেড স্পাইডার মাইট নিয়ন্ত্রণ করতে, পোঙ্গামিয়া সাবান (10.0 g/L) বা Dicofol 18.5% EC (2.5 ml/L) বা Fenzacune 10% EC প্রয়োগ করুন। (1.0 ml/l) বা spiromacyfen 22.9% sc (0.5 ml/l) বা দ্রবণীয় সালফার 80 WP। (3.0 g/L) পাতার নিচের পৃষ্ঠে স্প্রে করতে হবে।

    11.রোগ ব্যবস্থাপনা

    11.1. ধ্বসা

    ক্যাপ্টাফ 50% WP (2.0 g/l) বা কপার অক্সিক্লোরাইড 50% w.p. (3.0 g/l) অথবা Metalaxyl M 4% + Mancozeb 64 wp. (3 g/L) একটি দ্রবণ তৈরি করুন এবং এটি মাটিতে ব্যবহার করুন।

    11.2.. জলদি ধ্বসা

    বীজ বপনের 12 দিন পরে এবং রোপণের এক বা দুই দিন আগে, কপার অক্সিক্লোরাইড 50% WP দিয়ে প্রো ট্রে স্প্রে করুন। (3.0 গ্রাম/লি) ভেজানো। কপার অক্সিক্লোরাইড 50% WP (3.0 g/l) বা ক্লোরোথালোনিল 75% w.p. 20 গ্রাম /l) বা প্রোপিনেব (2.0 g/l) বা মাটিরাম 70% wg। (2.0 g/l) বা পাইরাক্লোসোট্রোবিন 20% wg। 10-15 দিনের ব্যবধানে প্রয়োজনীয় মেটিরাম (2.0 গ্রাম/লি) দিয়ে স্প্রে করুন।

    11.3.সেপ্টোরিয়া ফলিয়াজ স্পট

    প্রাথমিক আলসার নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

    11.4. দেরিতে ধ্বসা 

      ম্যানকোজেব 75% WG (2.0 g/l) বা কপার অক্সিক্লোরাইড 50% w.p. (3.0 g/l) বা বোর্দো মিশ্রণ (1%) বা কপার হাইড্রক্সাইড 77% wp (20 g/l) বা foacetyl-aluminium (2.0 g/l) বা dimethomorph 50% wp। স্প্রে (1.0 g/L) + মেটিরাম (2.0 g/L)।

    11.5. বক আই রট

    দেরী ব্লাইট নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

    11.6 গুঁড়া পোকার আক্রমণ 

    রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে হেক্সাকোনাজল 5% ইসি। (1.0 মিলি/লি) বা ডিনোক্যাপ 487 ইসি। স্প্রে (1.0 ml/l) অথবা দ্রবণীয় সালফার (3.0 g/l) অথবা কার্বন্ডাজিম 50% WP (10 g/l)।

    11.7.ফুসারিয়াম স্কর্চ  Fusarium scorch

    এই রোগের লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে গাছের শিকড়ে ট্রাইকোডার্মা হারজিয়ানাম (10 গ্রাম/লি) প্রয়োগ করতে হবে এবং এক সপ্তাহ পর সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স (10 গ্রাম/লি) হারে প্রয়োগ করতে হবে। ,

    11.8. ব্যাকটেরিয়া ঝলসানো

    এই রোগ প্রতিরোধী জাত বা হাইব্রিড ব্যবহার করুন এবং অন্যান্য খাদ্য ফসলের সাথে ফসল 

    .চক্র অনুসরণ করুন।

    এর নিয়ন্ত্রণের জন্য, সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স (10 গ্রাম/লি) দ্রবণে গাছ ডুবিয়ে প্রতিস্থাপন করুন।

    11.9.টমেটো পাতা মোড়ানো ভাইরাস রোগ

     এর জন্য টমেটোর উন্নত প্রতিরোধী/প্রতিরোধী জাত/হাইব্রিড ব্যবহার করুন।

     সাদা মাছি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত কীটনাশক ব্যবহার করুন। আক্রান্ত গাছগুলি অবিলম্বে উপড়ে ফেলুন এবং ফেলে দিন বা পুড়িয়ে ফেলুন।

    11.10. ম্যাকুলার স্করচ রোগ

    থ্রিপস নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করুন। 10 দিনের ব্যবধানে নিম বীচের নির্যাস (4%) বা নিম সাবান (10 গ্রাম/লিটার হারে) স্প্রে করুন।

    Fipronil 5 sc. (1.0 মিলি/লি) বা ডাইমেথোয়েট 30 ইসি। 20 ml/L) স্প্রে।

    11.11 ফুল ঝরে পরা রোগ

    চারা রোপণের আগে বেড তৈরির সময় চুন ও ক্যালসিয়ামযুক্ত সার ব্যবহার করতে হবে।

     লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ক্যালসিয়াম নাইট্রেট (5 g/L) স্প্রে করুন এবং এক সপ্তাহ পরে এটি আবার ব্যবহার করা উচিত।

    12. ফসল কাটা এবং ফলন

    চারা রোপণের 60-65 দিন পর ফল সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত। ব্রেকার পর্যায়ে ফলগুলি দূরবর্তী বাজারে পাঠাতে হয় (যখন রঙ মালাউই ব্যালে জপ করা উচিত। এক একর থেকে প্রায় 40 টন ফলন পাওয়া যায়।

    13.বীজ প্রাপ্তি -

    ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হর্টিকালচারাল রিসার্চ,(IIHR ) ব্যাঙ্গালোর ,

    সরাসরি অফিস থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে অথবা পোস্ট অফিস এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে N.E.F.Tবা R.T.G.Sকরে। তার জন্যে আগে মেইল করতে হবে নাম ঠিকানা দিয়ে। 

    13.1.বীজ এর দাম -

    ১০ গ্রাম বীজ এর দাম ৩০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ডাক চার্জ ৫০ টাকা সাথে দিতে হবে। 

    যোগাযোগ এর জন্যে এখানে ক্লিক করুন   অথবা 080-23086100/080-28466420

    14.তথ্য সূত্র-

     ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হর্টিকালচারাল রিসার্চ,(IIHR ) ব্যাঙ্গালোর ভারত সরকার

     \আরও দেখুন

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0মন্তব্যসমূহ

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)