মিশ্র মাছ চাষে পুকুরে পোনা মজুত আদর্শ পদ্ধতি এবং নিয়মিত খাদ্য দেওয়ার পদ্ধতি এবং পরিমান ۔

Didibhai Agrofarm
0
মিশ্র মাছ চাষে পুকুরে  পোনা মজুত   আদর্শ  পদ্ধতি এবং নিয়মিত খাদ্য দেওয়ার পদ্ধতি এবং পরিমান ۔

 মিশ্র মাছ চাষে পোনা মোজুতের আদর্শ পদ্ধতি

রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ পুকুরে প্রচলিত প্রথায় একত্রে চাষ করে বছরে হেকটর প্রতি 600 কেজি মাছ উৎপন্ন হত । কিন্তু বর্তমানে মিশ্র চাষ পদ্ধতিতে রুই, কাতলা ও মৃগেলের সঙ্গে আরাে তিনটি বিদেশী মাছ যথা সিলভার কার্প, গ্রাসকার্প ও সাইপ্রিনস কার্প এই ছয় রকমের মাছ একত্রে পকৱে চায় করে বছরে হেকটর প্রতি ৬০০০ কেজি মাছ উৎপাদন করা সম্ভব । এই ছয় প্রজাতির মাছ চাষের পদ্ধতিকে  মিশ্র চাষ বলা হয় । এই মাছ চাষে পুকুরের সব অংশের খাদ্য সম্পূর্ণ ভাবে ব্যবহৃত হয় । 

এই চাষের বৈশিষ্টগুলি হল

কাতলা ও সিলভার কার্প উভয়েই জলের উপরের স্তরে থাকে, কিন্তু এদের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পার্থক্য । লক্ষ্য করা যায় । অনেকগুলাে রেকারযুক্ত ফুলকা সিলভারকার্পকে প্রধাণতঃ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভিদকণা গ্রহণ করতে সাহায্য করে । কাতলা মাছের ফুলকার অন্তর্গঠন প্রাণীকণা গ্রহণে বেশী উপযােগী । সেইজন্যে কাতলা ও সিলভার কার্প জলের একই স্তরে থাকলেও খাদ্যের জন্য তাদের মধ্যে খুব কম প্রতিযােগিতা আছে । পুকুরে অতিরিক্ত উদ্ভিদকণা জমা হওয়ার কারণে জলের উপর সবুজ বর্ণ ধারণ করে সেগুলি   নিয়ন্ত্রণের জন্য সিলভার কার্প পুকুরে থাকা আবশ্যিক ।

রুই মাছ ও গ্রাসকার্প পুকুরের মধ্যস্তরে বাস করে । রুই মাছ ছােট অবস্থায় প্রাণীকণা এবং বড় হলে উদ্ভিকণা এবং জলজ উদ্ভিদের নরম পাতা খায় । গ্রাসকার্পের প্রধান খাদ্য ঝাঝি, ঘাস, জলজ উদ্ভিদ । তাই । এদের মধ্যেও খাদ্যের জন্য প্রতিযােগিতা নেই ।
মৃগেল ও সাইপ্রিনাস কার্প পুকুরের নীচের স্তরে থাকে । পুকুরের তলদেশে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য তাকে । এই দুটি মাছ পুকুরের নীচের স্তরের খাদ্য, মাটির সঙ্গে লেগে থাকা উদ্ভিদ ও প্রাণীজ খাদ্য ও জৈব পদার্থ । খায় । এছাড়া সাইপ্রিনাস কার্পের আর একটি বৈশিষ্ট্য হল এরা সর্বভূক এবং জলের নীচের স্তরের পচা জৈব । পদার্থ নিয়ন্ত্রণ করে । ।
কাজেই এই ছয় প্রকার মাছ একত্রে চাষ করলে পুকুরে খাদ্য যত জায়গায় সঞ্চিত আছে তা সবই ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হয় । তাছাড়া এই বিদেশী মাছগুলাের বৃদ্ধির হার দেশী পােনা মাছ গুলাের চাইতে । বেশী । সিলভারকার্প কাতলার থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ে । গ্রাসকার্পকে নিয়মিত জলজ উদ্ভিদ খাওয়াতে পারলে খুব দ্রুত বাড়ে । সাইপ্রিনাস কার্প মৃগেল থেকে সাধারণতঃদ্রুত হারে বাড়ে । উপরোক্ত তথ্যটি  থেকে বােঝা গেলো যে পুকুরে  কেবল রুই, কাতলা ও মৃগেল একত্রে চাষ করে  যে পরিমান মাছের  উৎপাদন হবে সেই একই পরিমান জায়াগায়  ছয় প্রকারের মাছ একত্রে মিশ্র চাষ করলে  উৎপাদন পরিমান একই সময়ে তার চেয়ে অনেকটা বেশী বেশি পাওয়া যাবে ।

পুকুরে আদর্শ্য মিশ্র  মাছ চাষ ’ করতে হলে মজুত পুকুরগুলিতে  নিন্মোক্ত  পদ্ধতিগুলাের মাধ্যমে  চাষ করতে হয়-
 
ক) পুকুর নির্বাচন

খ) চারাপােনা ছাড়ার আগে পুকুর পরিচর্যা

গ) চারাপােনা মজুতের হার ।

ঘ) পুকুরে চারাপোনা ছাড়ার পর পরিচর্যা ।


ক) পুকুর নির্বাচন

যে সব পুকুরে সারা বছর দেড় থেকে দু ’ মিটার জল থাকে, পাড় উঁচু অর্থাৎ আত । বৃষ্টিতে ভেসে যাবার ভয় থাকেনা, পুকুরের মাটি এঁটেল- দোঁয়াশ এবং পাক কম তাকে সেইসব পুকুর মিশ্র চাষের পক্ষে উপযােগী । পুকুর আয়তাকার এবং আয়তনে ১ বিঘা থেকে ১৫ বিঘা পর্যন্ত হতে পারে । তবের জলে যাতে অবাধে সূর্যকিরণ পড়তে পারে তার জন্য পুকুর পাড়ে বিশেষ করে পূর্ব দিকে কোন এছপালা না থাকাই বাঞ্ছনীয় । তবে নারকেল বা সুপারি জাতীয় গাছ থাকতে পারে ।
খ)পুকুরে  চারাপােনা ছাড়ার আগে যেগুলি করতে হবে 

১) জলজ উদ্ভিদ নিয়ন্ত্রণঃ

গ্রাসকার্পের খাদ্য নয় এমন জলজ উদ্ভিদ সমূহ কায়িক পরিশ্রমের দ্বারা তুলে । ফেলা একান্ত দরকার ।

২) ক্ষতিকারক মাছ নিধনঃ

 পুকুরে ২৫০ পি পি এম হারে মহুয়া খােল প্রয়ােগ করলে অপ্রয়োজনীয় মাছ গুলি  মারা যাবে । এই খােলের বিষক্রিয়া দু ’ সপ্তাহ পরে কেটে যাবে এবং খােল সার হিসাবে কাজ করে পুকুরে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক খাদ্যকণা জন্মাতে সাহায্য করে যা মাছের বেড়ে ওঠার জন্যে সহায়ক হবে ।

৩) চুন প্রয়ােগঃ

মহুয়া খােল ব্যবহারের ৭ দিন পরে একর  প্রতি ৯০ থেকে ১০০ কেজি চুন প্রয়ােগ করতে হবে ।

৪) সার প্রয়ােগঃ

পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যকণা উৎপাদনের জন্য জৈব ও অজৈব সার প্রয়ােগ করতে হয়|( পুকুরে যদি মহুয়া খােল প্রয়ােগের পর প্রাকৃতিক খাদ্যকণা পর্যাপ্ত পরিমাণে না জন্মায় তবে| বিঘা প্রতি ৫০০ কেজি হারে গােবর দিতে হবে । পুকুরে যদি মহুয়া খইল প্রয়ােগ না হয়ে থাকে তবে বিঘা প্রতি ১০০০ কেজি হারে গােবর দিতে হবে ।

পুকুরে উদ্ভিদকণা কম থাকলে বিঘা প্রতি ইউরিয়া ৪- ৫ কেজি সিঙ্গেল সুপার ফসফেট৫.৫- ৬| কেজি হারে প্রয়ােগ করা দরকার ।

গ) চারাপােনা মজুতের হার 

মিশ্র চাষ পদ্ধতিতে চারাপােনা মজুতের হার পুকুরের উর্বরতা, পরিপূরক খাদ্যের পরিবেশন ও চাষীর অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে ।সাধারণতঃ বিঘা প্রতি ৪- ৬ ইঞ্চি মাপের ১০০০ থেকে ১৫০০ টি চারাপােনা ছাড়তে পারলে ভালাে ।
যে হিসেবে অনুযায়ী পুকুরে মাছ মজুত করা যাবে সেগুলি হল -

পুকুরে ১০০টি তিন প্রজাতির মাছ স্তর অনুযায়ী  চাষের ক্ষেত্রে- কাতলা মাছ ৪০টি, রুই মাছ ৩০টি এবং মৃগেল মাছ  ৩০টি ছাড়া যাবে। ।

পুকুরে ১০০টি ছয় প্রজাতির মাছ জলের স্তর অনুযায়ী চাষের ক্ষেত্রে- কাতলা মাছ  ১০টি, রুই মাছ ৩০টি, মৃগেল মাছ ১৫টি, সিলভারকার্প মাছ ২০টি, গ্রাসকার্প মাছ  ১০টি এবং সাইপ্রিনাস কার্প মাছ ১৫টি ছাড়া যাবে। 

চারাপােনা গুলিকে রোগমুক্ত করার জন্যে পুকুরে ছাড়ার আগে ৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ৫ লিটার জলে  গুলে তারমধ্যে মাছগুলিকে ৫ থেকে ১০  সেকেন্ড ডুবিয়ে রাখার পর  পুকুরে ছাড়া উচিত ।

ঘ) পুকুরে চারাপােনা ছাড়ার পর করণীয় কাজগুলাে হল

১) সার প্রয়ােগ

সার প্রয়ােগের মাত্রা সব পুকুরে একরকম নয়, সেজন্য সার প্রয়ােগের আগে জল ও মাটির গুনাগুণ পরীক্ষা করে নিলে ভালাে হয় । সেই সঙ্গে পুকুরে উৎপন্ন প্রাকৃতিক খাদ্যের পরিমাণ কতটা তার উপর সার প্রয়ােগ নির্ভর করে । এরজন্য সেচিডিস্ক ব্যবহার করে জলের স্বচ্ছতা নির্ণয় করে সার প্রয়ােগ করা উচিত । সাধারণতঃ পুকুরে চারাপােনা ছাড়ার পর ১৫ দিন অন্তর অজৈব ও জৈব সার ব্যবহার করা হয় । পুকুরে প্রতিমাসে বিঘাপ্রতি ইউরিয়া ৪- ৫ কেজি ও সিঙ্গল সুপার ফসফেট ৫- ৬ কেজি এবং গােবর ১০০ কেজি প্রয়ােগ করা হয়ে থাকে । পুকুরে জলের রঙ যদি ঘন সবুজ বা হলদে বাদামী হয় এবং জলের স্বচ্ছতা যদি ২৫ সেন্টিমিটারের নীচে নেমে আসে তবে অজৈব সার প্রয়ােগ না করাই ভালাে । কারণ এতে পুকুরে শৈবাল আধিক্য হয়ে পুকুরের পরিবেশ নষ্ট করবে । পুকুরে পরিপূরক খাদ্য ব্যবহার করা হলে এর কিছু অংশ নষ্ট হয়ে পচে পুকুরে সারের কাজ করে । তাই পুকুরে ৫- ৬ মাস মাছ চাষের পর সার প্রয়ােগের মাত্রার উপর নজর দিতে হবে । সারের সুফল ভালােভাবে পেতে হলে উদ্ভিদকণা ও প্রাণীকণার জীবনচক্রের উপর ভিত্তি করে এবং সেচি ডিস্কের দ্বারা জলের স্বচ্ছতা নির্ণয় করে ৭- ১০ দিন অন্তর খব হাল্কা মাত্রায় সার প্রয়ােগ করা উচিত । কিন্তু এটা পুরােপুরি নির্ভর করে চাষীর অভিজ্ঞতার উপর ।

২ চুন প্রয়ােগঃ 
৩) জালটানা
৪) পরিপূরক খাদ্য পরিবেশনঃ 
পরিপূরক খাদ্য প্রয়ােগের পদ্ধতি
পরিপূরক খাদ্যের পরিমাণ নির্ণয়ের পদ্ধতি।
মিশ্র মাছ চাষের একটি আনুমানিক খাদ্য তালিকা

দিন

মাছের আনুমানিক ওজন (গ্রাম

মাছ বাচার সংখ্যা

দেহের ওজনের শতকরা খাদ্য পরিমাণ

১-৯০

২৫-১০০

১০০০

৩-২.৫ শতাংশ

৯১-১৮০

১০০-২৫০

৯৫০

২.৫-২ শতাংশ

১৯১-২৭0

২৫০-৪৫০

৯০০

২-১.৫ শতাংশ

২৭0-৩৬০

৪৫০-৭০০

৯০০

১.৫-১.২শতাংশ

গ্রাসকার্পের জন্য খাদ্য

প্রতি সপ্তাহে পুকুরে পি এইচ দেখে চুন প্রয়ােগ করা ভালাে। সাধারণতঃ মাসে বিঘা প্রতি ৫১০ কেজি হারে চুন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সার প্রয়ােগের ২-৩ দিন আগে একবার চুন প্রয়ােগ করে পুকুরে অ্যালকালিনিটির মাত্রা বাড়িয়ে নিলে সুফল তাড়াতাড়ি আসে। চুন প্রয়ােগের পর জাল টেনে চুন ঘেঁটে দিলে ভালাে হয়। 

 ১৫ দিন অন্তর একবার করে জাল টেনে মাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে এবং সংগৃহীত মাছকে লবন জলে কয়েক সেকেন্ড ডুবিয়ে আবার পুকুরে ছেড়ে দিতে হয়। জাল টানার ফলে মাছের ব্যায়াম

পুকুরে মাছের বৃদ্ধি দ্রুত করার জন্য প্রত্যহ পরিপূরক খাদ্য প্রয়ােগ করতে হয়। চালের কুঁড়াের সঙ্গে সরষে, বাদাম, তিলের মধ্যে যে কোন এক প্রকার খােল সমান পরিমাণে মিশিয়ে মাছের খাদ্য তৈরী করা হয়। সাধারণতঃ সরষের খােল ও চালের কুঁড়াে সমহারে (১ঃ১ অনুপাত) মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। প্রত্যহ মাছের খাদ্যের পরিমাণ এমনভাবে নির্দিষ্ট করতে হয় যাতে খাদ্যের পরিমাণের সঙ্গে মাছের বৃদ্ধির একটা সমতা থাকে।

আরও দেখুন - মাছের ২৫ টি রোগ এর লক্ষণ, কারণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ও প্রতিকার ব্যবস্থাপনা

১) খাদ্য শুকনাে অবস্থায় পুকুরের জলের উপরিভাগে ছড়িয়ে দিলে মাছ তা গ্রহণ করে। 

২) সরষের খােল এবং চালের কুঁড়া সমপরিমাণে সামান্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে গােল গােল ঢেলা করে জলের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট গভীরতায় ঝুড়ি বা অন্য কোন ট্রেতে রেখে পরিবেশন করা যায়। এই ঝুড়ি যাতে জলের মধ্যে স্থানচ্যুত না হয় তাই ঝুড়িকে একটি দড়ির সঙ্গে বেঁধে পুকুর পাড়ের কোন খুঁটির। সঙ্গে আটকে রাখতে হয়। খাদ্য দেওয়ার এক থেকে দু'ঘন্টা পরে এই ঝুড়ি তুলে পরিবেশন করা খাদ্য কি পরিমাণে মাছ গ্রহণ করে তা অনুমান করা যায় এবং সেইমত খাদ্য কমানাে বা বাড়ানাে যায়। প্রতিদিনের মােট খাদ্যের অর্ধাংশ সকালে এবং বাকী অর্ধাংশ বিকালে প্রয়ােগ করলে ভালাে ফল পাওয়া যায়। একটি। এক বিঘা পুকুরে এরকম ৩-৪টি ঝুড়িতে করে প্রতি সময়ের খাদ্যকে সমপরিমাণে ভাগ করে করে প্রয়ােগ। করতে হয়।

উদাহরণ স্বরূপ যদি দেখা হয় - একটি পুকুরে ২০০০টি ২৫  গ্রাম ওজনের চারাপােনা ছাড়লে পুকুরে মোট মাছের ওজন হবে


 মাছের মোট সংখ্যা X একটি মাছের ওজন


অর্থাৎ ২০০০ X ২৫   = ৫০০০ গ্রাম = ৫০ কিলােগ্রাম মাছের দেহের ওজনের ৩ শতাংশ হারে খাদ্য দিলে  মাছ ছাড়ার প্রথম দিন থেকে যে পরিমান খাদ্য দিতে হবে 


ধরাযাক প্রতিদিন ১০০ গ্রাম মাছের জন্য  ৩ গ্রাম খাদ্য দিতে হয় 


১ "  "  "  "  "   "  "  "   "  "  "   " ৩÷ ১০০



৫০০০ গ্রাম ,,,, , ,, , ,,,,,,,,,,,,,,,,,,, (৩÷ ১০০) ×৫০০০ 



= তাহলে দের কেজি খাদ্য প্রতিদিন  দিতে হবে।  


৯ মাস পরে যদি  মাছের ওজন  গড়ে ৮০০ গ্রাম হয়  তখন ২০০০টি মাছের জন্য পুকুরে মোট মাছের ওজন হবে


মাছের মোট  সংখা x একটি মাছের ওজন।


২০০০ X ৮০০ = ১৬০০০০০  গ্রাম = ১৬০০ কেজি


মাছের দেহ ওজনের ১.২ শতাংশ হারে খাদ্য দিলে  প্রতিদিন  খাদ্য দিতে  হবে


ধরাযাক  প্রতিদিন ১০০ গ্রাম মাছের জন্য  ১.২ গ্রাম খাদ্য দিতে হয় ।


তবে ১ ,গ্রাম  , , , , , , ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,১.২÷১০০


১৬০০০০ গ্রাম , , , , ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,(১.২ ÷১০০)× ১৬০০০০ 


= ১৯ কেজি ২০০ গ্রাম খাদ্য প্রতিদিন দিতে হবে।

এতেই বোঝা যাচ্ছে যে  মাছ যত বাড়ছে প্রতিদিন  খাদ্যের শতকরা পরিমাণ মাছের  দেহ ওজনের সঙ্গে কমতে থাকছে অথচ  মােট খাদ্যের পরিমাণ বাড়ছে।

এই হিসেবে অনুযায়ী ১ বিঘা পুকুরে যদি ১০০০ পোনা ২৫ গ্রাম ওজনের এক একটি হয় তবে দৈনিক ৩ শতাংশ হরে ৭৫০ গ্রাম এবং ৯ মাস পরে দৈনিক ১.২ শতাংশ হরে ৯ কেজি ৬০০ গ্রাম খাদ্য দিতে হবে। 

 ১.৫ - ১.২ শতাংশ প্রতি ১০-১৫ দিন অন্তর জাল দিয়ে ৫০-৬০টি বিভিন্ন প্রজাজির মাছ ধরে তাদের গড় ওজন নিয়ে খাদ্যের পরিমাণ ঠিক করতে হয়। খাদ্যের পরিমাণ অবস্থা বিশেষে পরিবর্তন করা যাবে। শীতকালে মাছ খাদ্য কম গ্রহণ করে তাই এইসময় পরিবেশিত খাদ্য খুব কম পরিমাণে দিতে হয়। এছাড়া জল দূষিত হলেও খাদ্যের পরিমাণ কম করতে হয়।।

গ্রাসকার্পের জন্য নরম জলজ উদ্ভিদ যেমন উলফিয়া, লেমনা, হাইড্রিলা এমনকি কচুরীপানা, কপিরপাতা, ঘাস ইত্যাদি খাদ্য হিসাবে নেওয়া হয়। গ্রাসকার্পের যা ওজন তার সমপরিমাণ ওজনের খাদ্য প্রতিদিন দিতে হয়। যদি একটি পুকুরে ১০০ গ্রাম ওজনের ১০০টি গ্রাসকার্প থাকে তবে গ্রাসকারে মােট ওজন হবে ১০ কেজি এবং প্রত্যহ ১০ কেজি করে খাদ্য দিতে হবে। পুকুরে যদি জলজ উদ্ভিদ কিছু থাকে তাহলে খাদ্যের পরিমাণ কমানাে যেতে পারে। কোন ঝুড়ি বা ট্রেতে করে খাদ্য পরিবেশন করা দরকার। মনে রাখা দরকার পুকুরে অন্যান্য মাছের জন্য যে পরিপূরক খাদ্য পরিবেশন করা হয় তার একঘন্টা আগে গ্রাসকার্পকে খাদ্য দিতে হয়।

তথ্যসূত্র -পশ্চিমবঙ্গ সরকার মৎস্যবিভাগ।  


আরও দেখুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)