ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি কিভাবে হবে ? হাসের ৯০% ডিম উৎপাদন জন্যে করণীয় ফর্মুলা গুলি কি ? -

Didibhai Agrofarm
0
ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি  কিভাবে হবে ? হাসের ৯০% ডিম উৎপাদন  জন্যে করণীয় ফর্মুলা গুলি কি  ?


ম্যাশ খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও তৈরির হিসেব –

হাসপালন লাভজনক দুটি ভাবে সম্ভব প্রথম তাকে প্রাকৃতিক খাদ্যের যোগান দিতে হবে এবং নিজে অধিক পুষ্টিগুণ নির্ধারন করে খাদ্য তৈরি করতে হবে হাসের ছোট থেকে ডিম উৎপাদন পর্যন্ত -আমরা ছোট 30 দিন বয়সের পর থেকে ডিম উৎপাদন পর্যন্ত কয়েকটি ফর্মূলা তুলে ধরেছি  যা কাঙ্খিত খরচ কমিয়ে ডিম উৎপাদন এ সহযোগিতা করবে  –

 1.বাচ্চার বয়স 30 দিনের পর যদি হাতে বানানো ম্যাশ খাদ্য যদি খাওয়াতে চান তবে তার মিশ্রন রেশিও হবে 10কেজি খাদ্য হারে যথা-


ক্র:নং

খাদ্য উপাদান

পরিমাণ/ কেজি

1

চালের কুড়া/রাইসব্যান

4

2

গমের কুড়া বা চকর

1.5

3

ভুট্টা ভাঙ্গা

2

4

ফিড

1

5

তিল / বাদাম খৈল

800

6

শুকনো মমাছের গুড়া

500

7

খনিজ লবণ

150

8

ভিটামিন

50

9

মোট

10

বাচ্চা ছোটো থাকা কালীন  পালংশাক, কলমি শাক খাওয়ালে ভালো হয় এবং 30 দিন পর বয়স থেকে সবুজ ঘাষ শাকসজি খাওয়াতে হবে এমনকি গৃহস্থালির দৈনিক খাবারের বেড়ে যাওয়া শাকসজি দেওয়া যেতে পারে। সবুজ খাদ্য দেওয়া আবশ্যক। ছা সামুক বা জরি খেতে দিলে আরও ভাল হবে এতে ক্যালশিয়াম এর ঘাটতি মিটবে। এটি চাষ ও করা যায় করে।

আরো দেখুন  

হাসের 30 টি প্রধান রোগের লক্ষণ ও তার চিকিৎসা পদ্ধতি এবংহাসের ডাক প্লেগ ,ডাক কলেরা রোগ এর কারণ ও প্রতিকার


2. হাসের 3 মাস বয়স থেকে ডিম ডিম উৎপাদন পর্যন্ত ফর্মুলা নং 1

ক্র:নিং

খাদ্য উপাদান

বাড়ন্ত বয়স

ডিমের বয়সে

1

ভাঙ্গা ভুট্টা

40 কেজি

30 কেজি

2

গম ভাঙ্গা

25 কেজি

20 কেজি

3

চলের কুড়া

10 কেজি

20 কেজি

4

সয়াবিন মিল

10কেজি

10 কেজি

5

তিল বা সর্ষের খৈল

5 কেজি

5 কেজি

6

শুকনা মাছ

8 কেজি

10 কেজি

7

খনিজ লবণ

2 কেজি

2কেজি

8

ঝিনুক গুড়া 

 

3 কেজি

9

মোট

100 কেজি

100 কেজি

ডিম্ উৎপাদনের সময় 


ক্র: নং

খাদ্য উপাদান

বাড়ন্ত বয়স

ডিমের বয়সে

1

গম ভাঙ্গা

65 কেজি

50 কেজি

2

চলের কুড়া

10 কেজি

20 কেজি

3

সয়াবিন মিল

10কেজি

10 কেজি

4

তিল বা সর্ষের খৈল

4 কেজি

4 কেজি

5

শুকনা মাছ

8 কেজি

10 কেজি

6

খনিজ লবণ

2 কেজি

2কেজি

7

খাবার লবণ

1 কেজি

1 কেজি

8

ঝিনুক গুড়া

 

3 কেজি

8

মোট

100 কেজি

100 কেজি

 ভালো ডিম উৎপাদন এ খাদ্য প্রদান এর নিয়ম -

প্রতিটা হাঁসকে প্রতিদিন ন্যূনতম 140 গ্রাম খাদ্য দিতে হবে। এই খেত্রে হাঁস যদি বাইরে থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পারে তাহলে আপনার খরচ কমে আসবে। বাকি দেওয়া খাবারের মধ্যে 100% ভাগের মধ্যে 70% ভাগ লেয়ার ফিড আর যদি শামুক বা জরি চাষ করে প্রতদিন দিতে পারেন তাহলে 40% ভাগ ফিড দিলেই হবে এবং এর সাথে বাকি 30 ভাগ সয়াবিন , সরিষার খৈল,ভুট্টাভাঙ্গা ধানের কুড়া, গম ভাঙ্গা বা চকর এব্য লবন এবং সবুজ শাকসজি যেমন পালংশাক ,কলিশাক খাওয়াবেন। সাথে ভিটামিন দিবেন যথা ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, এডি, মাল্টিভিটামিন ন্যনতম সপ্তাহে ৩ দিন এক দিন পর পর । স্যালাইন দিবেন দুপুরের জলে যদি সেদিন খুব গরম হয়।

অক্সিটেট্রাসাইক্লিন প্রতিলিটার জলে ১1টি ক্যাপসুল বা খাবারের জলে সন্ধ্যায় সপ্তাহে 3 দিন। করা রোদে  হাস জলে না রেখে ছায়া যুক্ত যায়গায় এনে রাখবেন। 45-50 দিন পর পর কৃমিনাশক খাওয়াবেন সকলে খালি পেটে। কৃমিনাশক এর পর অবশ্যই ভিটামিন এ। ডি দিবেন। পরের দিন থেকে ন্যূনতম 3 দিন লিভারটনিক,জিঙ্ক ,নেপকেয়ার দিবেন। ডিমের হাঁসের জন্যে সুর্যের আলো  সহ মোট 16 ঘন্টা আলো রাখবেন ঘরে। এবং ডিম পারার সুবিধার্থে ঘরে ছোট ছোট  বাক্স তৈরী করে দিবেন। এই নিওম অনুযায়ী করলে 90% পর্যন্ত ডিম উৎপাদন সম্ভব হতে পারে  তবে হাসকে পাট পচা বা পচা জলে না নামতে দেওয়াই ভালো ।

3.ভাল ডিম উৎপাদন এর জন্যে 100 কেজি খাদ্য প্রস্তুতি ফর্মুলা নং 3 দেওয়া হল যা 70%-80% ডিম উৎপাদন এ কার্যকরী উপরোক্ত নিওম গুলি মেনে টেবিল অনুসারে  খাদ্য প্রদান করলে

ক্র: নং

খাদ্য উপাদান

পরিমান/ 

1

সয়াবিন মিল

19 কেজি

2

গম ভাঙ্গা /চকর

40 কেজি

3

ভুট্টা ভাঙ্গা

20 কেজি

4

ধানের কুড়া

17.5 কেজি

5

প্রোটিন কোনসেনেট্রট

2 কেজি

6

ডিসিপি

700গ্রাম

7

ভিটামিন প্রিমিক্স

100গ্রাম

8

মিথিওনীন

100গ্রাম

9

লাইসিন

100গ্রাম

10

মোট

100

 

শামুক বা গুজরি চাষ

হাঁস পালন এর জন্যে গুজরি বা সামুক একটি আবশ্যক খাদ্য । হাস জে হারে খাদ্য প্রয়জন তা একমাত্র তা একমাত্র শামুক দিয়ে ফ্রি খাবার প্রস্তুত সম্ভব। পরে গুজরি চাষ এর প্রতি শতকে 1 মিটার জলের উচ্চতার জন্য 1 কেজি কাচা গোবর , 1 কেজি সষরে খৈল, এবং 250 গ্রাম ইউরিয়া সার 3 দিন পর পর ৩ বার দেবার পর 7 দিন পরে জল যদি সবুজ আকার ধারন করে তখন খাল বিল পুকুর যেকোনো স্থান  থেকে ছোট  শামুক বা ও গুজরি এনে ছরিয়ে দিতে হবে সারা পুকুরে এবং যত বেশি দিবেন তত তারা তারি বিস্তার লাভ করে গুজরি ঢাষ এর প্রতি শতকে 1 মিটার জলের উচ্চতার জন্য 1 কেজি কাচা গোবর , 1 কেজি সর্ষে খৈল, এবং 250 গ্রাম ইউরিয়া সার 3 দিন পর পর 3 বার দেবার পর 7 দিন পরে জল যদি সবুজ আকার ধারন করে তখন খাল বিল পুকুর যেকোনো  যায়গা থেকে ছোট শামুক বা গুজরি এনে ছরিয়ে দিতে হবে সারা পুকুরে এবং যত বেশি দিবেন তত তারা তারি বিস্তার লাভ করবে। 1 মাস পর তুলে খাওয়াতে পারবেন। তবে চাষের পুকুরে হাস ছারবেন না তহলে বৃদ্ধিতে ব্যহত হবে তাই সেখান থেকে ঠেলা জাল দিয়ে ধরে খাওয়াবেন৷ এতে হাসের পুস্টি পাবে বেশি খাদ্য খরচ কম হবে এবং ডিম এর উৎপাদন বেরে যাবে 

হাস ও মুরগির ডিমের তুলনা মূলক পুষ্টি মূল্য প্রতি 100 গ্রাম খোলা ছাড়ানো ডিমে

প্রজাতি

জল গ্রাম

প্রোটিন গ্রাম

ফ্যাট গ্রাম

শর্করা গ্রাম

খনিজ গ্রাম

হাস

7.10

13.9

14.5

0.50

1.0

মুরগি

73.7

12.9

11.5

0.90

1.0






আরো দেখুন  

1. বিজ্ঞান ভিত্তিক হাসের বাচ্চা ব্রুডিং এবং বাসস্থান নির্মাণ পদ্ধতি
2. গরুর রোগ সমাধানে প্রাণী চিকিৎসকদের পরামর্শ
3. ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি কিভাবে হবে ? হাসের ৯০% ডিম উৎপাদন জন্যে করণীয় ফর্মুলা গুলি কি ?
4. মুরগীপালন পদ্ধতি । মুরগীপালন কিভাব শুরু করব । মুরগীর রোগের কারণ । মুরগীর রোগের চিকিৎসা।
5. দেশি ,সোনালী ,ব্রয়লার মুরগির ঔষধ ও খাদ্য তালিকা
6. শুকরের প্রজাতি ,রোগ ,খাদ্য ,বাসথান সম্পর্কে প্রাণী চিকিৎসকদের বিস্তারিত তথ্য
7. আধুনিক ছাগল খামার গড়ে তুলতে প্রাণী পালন চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-2022
8. ছাগলের রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসার সঠিক পরামর্শ দিচ্ছেন পশু চিকিৎসকরা
9. গাভী পালন সম্পর্কে সরকারি পশু চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
10. পশুপালকদের জন্য কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে লোন দিচ্ছে
11. জৈব চাষে রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণে সবচয়ে ভালো 16 টি সহজ ও পরিবেশমুখী কীটনাশক , ছত্রাক নাশক টোটকা
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)